দাজ্জালের আবির্ভাব এবং পৃথিবীতে তার অবস্থান।

১৮৬০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মাক্কাহ ও মাদীনাহ ব্যতীত এমন কোন শহর নেই যেখানে দাজ্জাল পদচারণা করিবে না। মাক্কাহ এবং মাদীনাহর প্রত্যেকটি প্রবেশ পথেই ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে পাহারায় নিয়োজিত থাকিবে। এরপর মাদীনাহ তার অধিবাসীদেরকে নিয়ে তিনবার কেঁপে উঠবে এবং আল্লাহ তাআলা সমস্ত কাফির এবং মুনাফিকদেরকে বের […]

দাজ্জাল- আল্লাহ্‌র নিকট তার মর্যাদা খুবই নিন্মে।

১৮৫৯. মুগীরাহ ইবনি শুবাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে দাজ্জাল সম্পর্কে যত বেশি প্রশ্ন করতাম সেরূপ আর কেউ করেনি। তিনি আমাকে বললেনঃ তা থেকে তোমার কি ক্ষতি হইবে? আমি বললাম, লোকেরা বলে যে, তার সঙ্গে রুটির পর্বত ও পানির নহর থাকিবে। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌র কাছে অতি সহজ। […]

দাজ্জালের বিবরণ, মদিনায় প্রবেশ তার জন্য নিষিদ্ধ করা হইবে, তার দ্বারা একজন মুমিনকে হত্যা এবং সে মুমিনকে আবার জীবিতকরণ।

১৮৫৮. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আমাদের সামনে দাজ্জাল সম্পর্কে এক দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। বর্ণিত কথাসমূহের মাঝে তিনি এ কথাও বলেছিলেন যে, মাদীনাহর প্রবেশ পথে অনুপ্রবেশ করা দাজ্জালের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই সে মাদীনার উদ্দেশে যাত্রা করে মাদীনাহর নিকটবর্তী কোন একটি […]

দাজ্জাল, তার ও তার সঙ্গে যারা থাকিবে তাহাদের বর্ণনা।

১৮৫৪.আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা নাবী [সাঃআঃ] লোকজনের সামনে মাসীহ দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করিলেন। তিনি বলিলেন, আল্লাহ্ ট্যাড়া নন। সাবধান! মাসীহ দাজ্জালের ডান চক্ষু ট্যাড়া। তার চক্ষু যেন ফুলে যাওয়া আঙ্গুরের মত। [বোখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৪৮ হাদীস নং ৩৪৩৯; মুসলিম ২৯৩১] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ […]

ইবনি সাইয়্যাদের বর্ণনা।

১৮৫১. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, উমার [রাদি.] কয়েকজন সহাবীসহ আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ইবনি সাইয়্যাদের নিকট যান। তাঁরা তাকে বনী মাগালার টিলার উপর ছেলে-পেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করিতে দেখিতে পান। আর এ সময় ইবনি সাইয়্যাদ বালিগ হওয়ার নিকটবর্তী হয়েছিল। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর [আগমন] সে কিছু টের না পেতেই […]

কিয়ামত সংঘটিত হইবে না যে পর্যন্ত না ক্ববরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি বলবে, মৃতের জায়গায় যদি আমি থাকতাম (বালা মুসিবতের কারণে)।

১৮৪২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত কায়িম হইবে না, যতক্ষণ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় না বলবে হায়! যদি আমি তার স্থলে হতাম। [বোখারী পর্ব ৯২ অধ্যায় ২২ হাদীস নং ৭১১৫; মুসলিম ১৫৭ ,এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস ১৮৪৩. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে […]

দাউস গোত্র যালখালাসার ইবাদাত না করা পর্যন্ত ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে না।

১৮৪১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, ক্বিয়ামাত কায়িম হইবে না, যতক্ষণ যুলখালাসাহর পাশে দাওস গোত্রীয় রমণীদের নিতম্ব দোলায়িত না হইবে। যুলখালাসাহ হলো দাওস গোত্রের একটি মূর্তি। জাহিলী যুগে তারা এর উপাসনা করত। [বোখারী পর্ব ৯২ অধ্যায় ২৩ হাদীস নং ৭১১৬; মুসলিম ৫২/১৭, […]

ফেতনা পূর্ব দিক থেকে যেখান থেকে শাইত্বনের শিং বেরিয়ে আসে।

১৮৪০. ইবনি উমার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ তিনি রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে পূর্ব দিকে মুখ করে বলিতে শুনেছেন, সাবধান! ফেতনা সে দিকে যে দিক থেকে শয়তানের শিং উদিত হয়। {৩১০৪; মুসলিম [বোখারী পর্ব ৯২ অধ্যায় ১৬ হাদীস নং ৭০৯৩; মুসলিম ৫২/১৬, হাঃ ২৯০৫] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

ফোরাত নদী সোনার পাহাড় উন্মুক্ত না করা পর্যন্ত ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে না।

১৮৩৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ অদূর ভবিষ্যতে ফোরাত নদী তার গর্ভস্থ স্বর্ণের খনি বের করে দেবে। সে সময় যারা উপস্থিত থাকিবে তারা যেন তা থেকে কিছুই গ্রহণ না করে। [বোখারী পর্ব ৯২ অধ্যায় ২৪ হাদীস নং ৭১১৯; মুসলিম ৫২/৮, হাঃ ২৮৯৪] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ […]

সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় ফেতনা ছড়িয়ে পড়বে।

১৮৩৭. হুয়াইফাই (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা ’উমার (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তিনি বললেন, ফিতনা-ফাসাদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য তোমাদের মধ্যে কে মনে রেখেছাে? হুইফাহ (রাঃ) বললেন, ’যেমনভাবে তিনি বলেছিলেন হুবহু তেমনিই আমি মনে রেখেছি। উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী মনে […]