ইনশাআল্লাহ বলা।

১০৭২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, দাউদ [আ.]-এর পুত্র সুলায়মান [আ.] একদা বলেছিলেন, নিশ্চয়ই আজ রাতে আমি আমার একশত স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হব এবং তাহাদের প্রত্যেকেই একটি করে পুত্র সন্তান প্রসব করিবে, যারা আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করিবে। এ কথা শুনে একজন ফেরেশতা বলেছিলেন, আপনি ইন্‌শাআল্লাহ বলুন; কিন্তু তিনি […]

এটা [বৈধ] যে কেউ কোন কিছু করার কসম খেলো এবং পরেও অন্যটা করা ভাল দেখল তাহলে সে ভালটা করিবে এবং তার কসমের কাফ্‌ফারা দিবে।

১০৬৯. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আমার সাথীরা আমাকে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে পাঠালেন তাহাদের জন্য পশুবাহন চাওয়ার জন্য। কারণ তাঁরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে কষ্টের যুদ্ধ অর্থাৎ তাবূকের যুদ্ধে যাচ্ছিলেন। অনন্তর আমি এসে বললাম, হে আল্লাহ্‌র নাবী [সাঃআঃ]! আমার সাথীরা আমাকে আপনার কাছে এজন্য পাঠিয়েছেন যে, আপনি যেন তাহাদের জন্য পশুবাহনের […]

যে লাত, উযযার নামে কসম করে সে যেন লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ বলে।

১০৬৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি কসম করে বলে যে, লাত ও উয্‌যার কসম, সে যেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে। আর যে ব্যক্তি তার সাথীকে বলে, এসো, আমি তোমার সঙ্গে জুয়া খেলব, তার সদাকাহ দেয়া কর্তব্য। [বোখারী পর্ব ৬৫ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং […]

আল্লাহ তাআলার নাম ব্যতীত অন্যের নামে কসম করা নিষেধ।

১০৬৬. উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের পিতা-পিতামহের নামে কসম করিতে নিষেধ করিয়াছেন। উমার [রাদি.] বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! যখন থেকে আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে এ কথা বলিতে শুনিয়াছি, তখন থেকে আমি স্বেচ্ছায় বা ভুলক্রমে তাহাদের নামে কসম করিনি। [বোখারী পর্ব ৮৩ অধ্যায় ৪ […]

যে ব্যক্তি কাবা পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার নযর মানলো।

১০৬৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তার দুই ছেলের উপর ভর করে হেঁটে যেতে দেখে বললেনঃ তার কী হয়েছে? তারা বলিলেন, তিনি পায়ে হেঁটে হাজ্জ করার মানত করিয়াছেন। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বললেনঃ লোকটি নিজেকে কষ্ট দিক আল্লাহ তাআলার এর কোন দরকার নেই। অতঃপর তিনি তাকে সওয়ার […]

নাযর মানা নিষিদ্ধ এবং এটা ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটায় না।

১০৬২. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] মানৎ করিতে নিষেধ করিয়াছেন। এ মর্মে তিনি বলেন, মানৎ কোন জিনিসকে দূর করিতে পারে না। এ দ্বারা শুধুমাত্র কৃপণের মাল খরচ হয়। [বোখারী পর্ব ৮২ অধ্যায় ৬ হাদীস নং ৬৬০৮; মুসলিম ২৬/২, হাঃ ১৬৩৯] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস […]

নাযর পূর্ণ করার নির্দেশ।

১০৬১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ সাদ্ ইবনি উবাদাহ [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট জানতে চাইলেন যে, আমার মা মারা গেছেন এবং তার উপর মান্নত ছিল, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তুমি তার পক্ষ থেকে তা পূর্ণ কর। [বোখারী পর্ব ৫৫ অধ্যায় ১৯ হাদীস নং ২৭৬১; মুসলিম ২৬/১ হাঃ ১৬৩৮] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ […]

হিজাজ থেকে আগুন বের না হওয়া পর্যন্ত ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে না।

১৮৩৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত কায়িম হইবে না যতক্ষণ না হিজাযের যমীন থেকে এমন আগুন বের হইবে, যা বুসরার উটগুলোর গর্দান আলোকিত করে দেবে। [বোখারী পর্ব ৯২ অধ্যায় ২৪ হাদীস নং ৭১১৮; মুসলিম ৩৩/৪১, হাঃ ১৯০২] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

(পুনরুত্থান দিবসে) সিঙ্গায় দুবার ফুঁক দেয়ার মাঝে সময়ের ব্যবধান।

১৮৬৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুৎকারের মধ্যে চল্লিশের ব্যবধান হবে। [আবু হুরাইরাহ (রাঃ)]-এর এক ছাত্র বললেন, চল্লিশ বলে চল্লিশ দিন বোঝানো হয়েছে কি? তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করলাম। তারপর পুনরায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন, চল্লিশ বলে চল্লিশ মাস বোঝানো […]

ক্বিয়ামাতের নিকটবর্তী হওয়া।

১৮৬১. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আমি নাবী [সাঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, ক্বিয়ামাত যাদের জীবদ্দশায় কায়িম হইবে তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক। [বোখারী পর্ব ৯২ অধ্যায় ৫ হাদীস নং ৭০৬৭; মুসলিম ৫২/২৬, হাঃ ২৯৪৯] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস ১৮৬২. সাহল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি দেখেছি, […]