পারস্যবাসীদের ফাযীলাত।

১৬৫০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে বসেছিলাম। এমন সময় তাহাঁর উপর অবতীর্ণ হলো সূরাহ জুমুআহ, যার একটি আয়াত হলো ঃ “এবং তাহাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনও তাহাদের সঙ্গে মিলিত হয়নি।” তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারা কারা? তিনবার এ কথা জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও তিনি […]

নাবী (সাঃ)-এর সাহাবী (রা)-দের গালি দেয়া নিষিদ্ধ।

১৬৪৯. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা আমার সাহাবীগণকে গালমন্দ কর না। তোমাদের কেউ যদি উহূদ পর্বত পরিমাণ সোনা আল্লাহ্‌র রাস্তায় ব্যয় কর, তবুও তাহাদের একমুদ বা অর্ধমুদ-এর সমপরিমাণ সাওয়াব হইবে না। [বোখারী পর্ব ৬২ অধ্যায় ৫ হাদীস নং ৩৬৭৩; মুসলিম ৪৪/৫৪ হাঃ ২৫৪১]

নাবী (সাঃ)-এর উক্তিঃ আজ যারা বেঁচে আছে তাহাদের কেউই একশ বছর পর পৃথিবীর উপর জীবিত থাকিবে না।

১৬৪৮. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর জীবনের শেষের দিকে আমাদের নিয়ে ইশার সালাত আদায় করিলেন। সালাম ফিরানোর পর তিনি দাঁড়িয়ে বললেনঃ তোমরা কি এ রাতের সম্পর্কে জান? বর্তমানে যারা পৃথিবীতে রয়েছে, একশ বছরের মাথায় তাহাদের কেউ আর অবশিষ্ট থাকিবে না। [বোখারী পর্ব ৩ অধ্যায় […]

নাবী (সাঃ)-এর সহাবীদের মর্যাদা, অতঃপর তাহাদের পরবর্তীদের, অতঃপর তাহাদের পরবর্তীদের।

১৬৪৫. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, এমন এক সময় আসবে যখন একদল লোক আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করিবে। তাহাদেরকে জিজ্ঞেস করা হইবে, তোমাদের সঙ্গে কি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাহাবীদের কেউ আছেন? বলা হইবে, হ্যাঁ। অতঃপর [তাহাঁর বারাকাতে] বিজয় দান করা হইবে। অতঃপর এমন এক সময় আসবে, যখন জিজ্ঞেস করা […]

নাবী (সাঃ) কর্তৃক তাহাঁর সাথীদের মধ্যে ভ্রাতৃবন্ধন প্রতিষ্ঠা।

১৬৪৪. আসিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার নিকট কি এ হাদীস পৌঁছেছে যে, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, ইসলামে হিল্‌ফ [জাহিলী যুগের সহযোগিতা চুক্তি] নেই? তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আমার ঘরে কুরায়শ এবং আনসারদের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন। [বোখারী পর্ব ৩৯ অধ্যায় […]

কুরাইশ নারীদের ফাযীলাত।

১৬৪৩. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, কুরাইশ বংশীয়া নারীরা উটে আরোহণকারী সকল নারীদের তুলনায় উত্তম। এরা শিশু সন্তানের উপর অধিক স্নেহশীলা হয়ে থাকে আর স্বামীর সম্পদের প্রতি খুব যত্নবান হয়ে থাকে। অতঃপর আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] বলেছেন, ইমরানের কন্যা মারইয়াম কখনও উটে আরোহণ […]

মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম।

১৬৪২. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা মানুষকে ঋণির মত পাবে। আইয়্যামে জাহিলীয়্যাতের উত্তম ব্যক্তিগণ ইসলাম গ্রহণের পরও তারা উত্তম যখন তারা দীনী জ্ঞান অর্জন করে আর তোমরা শাসন ও কর্তৃত্বের ব্যাপারে লোকদের মধ্যে উত্তম ঐ ব্যক্তিকে পাবে যে এ ব্যাপারে তাহাদের মধ্যে সবচেয়ে […]

গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ, আশযা, মুজাইনাহ, তামিম, দাওস ও তাঈ গোত্রগুলোর ফাযীলাত।

১৬৩৭. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেন, কুরাইশ, আনসার, জুহায়নাহ, মুযায়নাহ, আসলাম, আশজা ও গিফার গোত্রগুলো আমার সাহায্যকারী। আল্লাহ্ ও তাহাঁর রসূল ছাড়া তাঁদের সাহায্যকারী আর কেউ নেই। [বোখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ২ হাদীস নং ৩৫০৪; মুসলিম ৪৪/৪৭ হাঃ ২৫২০] ১৬৩৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে […]

গিফার ও আসলাম গোত্রের জন্য নাবী (সাঃ)-এর দুআ।

১৬৩৫. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, আসলাম গোত্র, আল্লাহ্ তাহাদেরকে নিরাপত্তা দিন। গিফার গোত্র, আল্লাহ্ তাহাদেরকে মাফ করুন। [বোখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ৬ হাদীস নং ৩৫১৪; মুসলিম ৪৪/৪৬ হাঃ ২৫১৬] ১৬৩৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] মিম্বারে উপবিষ্ট অবস্থায় বলেন, গিফার গোত্র, আল্লাহ্ […]

আনসারদের (রা) সঙ্গ লাভে যে কল্যাণ লাভ করা যায়।

১৬৩৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, এক সফরে আমি জারীর ইবনি আবদুল্লাহ্ [রাদি.]-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি আমার খেদমত করিতেন। যদিও তিনি আনাস [রাদি.]-এর চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন। জারীর [রাদি.] বলেন, আমি আন্‌সরদের এমন কিছু কাজ দেখেছি, যার কারণে তাহাদের কাউকে পেলেই সম্মান করি। [বোখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় […]