১৩৩৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুজনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট এবং তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট। [বোখারী পর্ব ৭০ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ৫৩৯২; মুসলিম ৩৬/৩৩, হাঃ ২০৫৮]
মেহমানের সম্মান ও তাকে [মেহমানকে] প্রাধান্য দেয়ার ফাযীলাত
১৩৩০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ এক লোক নাবী [সাঃআঃ]-এর খেদমতে এল। তিনি [সাঃআঃ] তাহাঁর স্ত্রীদের কাছে লোক পাঠালেন। তাঁরা জানালেন, আমাদের নিকট পানি ছাড়া কিছুই নেই। তখন রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, কে আছ যে এই ব্যক্তিকে মেহমান হিসেবে নিয়ে নিজের সাথে খাওয়াতে পার? তখন এক আনসারী সাহাবী {আবু ত্বলহা } […]
কালো কাবাস [আরক গাছের ফল]-এর ফাযীলাত
১৩২৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে কাবাস [পিলু] গাছের পাকা ফল বেছে বেছে নিচ্ছিলাম। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, এর মধ্যে কালোগুলো নেয়াই তোমাদের উচিত। কেননা এগুলোই অধিক সুস্বাদু। সাহাবীগণ বলিলেন, আপনি কি ছাগল চরিয়েছিলেন? তিনি বলিলেন, প্রত্যেক নাবীই তা চরিয়েছেন। [বোখারী পর্ব […]
কামআ [এক প্রকার ছত্রাক যা খাওয়া যায়]-এর ফাযীলাত এবং চক্ষু রোগের ঔষধ হিসেবে তার ব্যবহার।
১৩২৮. সাঈদ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ [আরবী] আল কামাআত [ব্যাঙের ছাতা] মান্না জাতীয়। আর তার পানি চোখের রোগের প্রতিষেধক। [বোখারী পর্ব ৬৫ অধ্যায় ২ হাদীস নং ৪৪৭৮; মুসলিম ৩৬/২৮, হাঃ ২০৪৯]
মাদীনাহ্র খেজুরের মর্যাদা।
১৩২৭. সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সকাল বেলা সাতটি আজ্ওয়া [মাদীনায় উৎপন্ন উন্নত মানের খুরমার নাম] খেজুর খাবে, সে দিন কোন বিষ বা যাদু তার কোন ক্ষতি করিবে না। [বোখারী পর্ব ৭৬ অধ্যায় ৫২ হাদীস নং ৫৭৬৯; মুসলিম ৩৬/২৭, হাঃ ২০৪৭]
একসাথে খাওয়ার সময় সাথীদের বিনা অনুমতিতে এক সাথে দুটো খেজুর বা দু টুকরা খাওয়া নিষিদ্ধ।
১৩২৬. জাবালাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা মাদীনায় কিছু সংখ্যক ইরাকী লোকের সাথে ছিলাম। একবার আমরা দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত হই, তখন ইবনি যুবাইর [রাদি.] আমাদেরকে খেজুর খেতে দিতেন। ইবনি উমার [রাদি.] আমাদের নিকট দিয়ে যেতেন এবং বলিতেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাউকে তার ভাইয়ের অনুমতি ব্যতীত এক সাথে দুটো করে খেজুর […]
তাজা খেজুরের সাথে শসা খাওয়া।
১৩২৫. আবদুল্লাহ ইবনি জাফর ইবনি আবু ত্বলিব হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে তাজা খেজুর কাঁকুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দেখেছি। [বোখারী পর্ব ৭০ অধ্যায় ৩৯ হাদীস নং ৫৪৪০; মুসলিম ৩৬/২৩, হাঃ ২০৪৩]
ঝোল খাওয়া জায়িয, কুমড়া খাওয়া মুস্তাহাব এবং দস্তরখানায় লোকেদের কতককে অন্যদের উপর প্রাধান্য দেয়া যদি মেজবান এটা অপছন্দ না করে।
১৩২৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, এক দরজী খাবার তৈরী করে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-কে দাওয়াত করিলেন। আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর সামনে রুটি এবং ঝোল যাতে লাউ ও গোশতের টুকরা ছিল, পেশ করিলেন। আমি নাবী [সাঃআঃ] -কে দেখিতে পেলাম যে, পেয়ালার কিনারা হইতে তিনি […]
মেহমানের জন্য তার সাথে অন্য এমন লোককে নিয়ে যাওয়া বৈধ যার ব্যাপারে সে নিশ্চিত যে বাড়িওয়ালা এতে সন্তুষ্ট থাকিবে এবং যথাযথ মূল্যায়ন করিবে।
১৩২২. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, যখন পরিখা খনন করা হচ্ছিল তখন আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে ভীষণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখিতে পেলাম। তখন আমি আমার স্ত্রীর কাছে ফিরে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার কাছে কোন কিছু আছে কি? আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দারুন ক্ষুধার্ত দেখেছি। তিনি একটি চামড়ার পাত্র এনে তা […]
খাবারের মালিক দাওয়াত দেয়নি এমন কেউ মেহমানের সঙ্গী হলে মেহমান কী করিবে? এবং মেজবানের জন্য উত্তম হল সঙ্গী ব্যক্তিকে খাবারের অনুমতি দেয়া।
১৩২১. আবু মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আবু শুআইব নামক এক আনসারী এসে তার কসাই গোলামকে বলিলেন, পাঁচ জনের উপযোগী খাবার তৈরী কর। আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-সহ পাঁচজনকে দাওয়াত করিতে যাই। তাহাঁর চেহারায় আমি ক্ষুধার চিহ্ন দেখিতে পেয়েছি। তারপর সে লোক এসে দাওয়াত দিলেন। তাহাদের সঙ্গে আরেকজন অতিরিক্ত এলেন। […]