নাবী [সাঃ]-এর বীরত্ব ও যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালনের বর্ণনা।

১৪৮৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] সকল লোকের চেয়ে সুশ্রী ও সাহসী ছিলেন। এক রাতে মাদীনার লোকেরা ভীত হয়ে শব্দের দিকে বের হলো। তখন নাবী [সাঃআঃ] তাঁদের সামনে এলেন এমন অবস্থায় যে, তিনি শব্দের কারণ অন্বেষণ করে ফেলেছেন। তিনি আবু ত্বলহার জিনবিহীন ঘোড়ার পিঠে সাওয়ার ছিলেন এবং […]

উহূদের যুদ্ধে নাবী (সাঃ)-এর পক্ষে জিব্‌রীল ও মীকাঈল [আ.]-এর যুদ্ধ করার বর্ণনা।

১৪৮৮. সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, উহুদের দিন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে আমি আরো দু ব্যক্তিকে দেখলাম, যারা সাদা পোশাকে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পক্ষে তুমুল যুদ্ধ করছে। আমি তাহাদেরকে আগেও দেখিনি আর পরেও দেখিনি। [বোখারী পর্ব ৬৪ অধ্যায় ১৮ হাদীস নং ৪০৫৪; মুসলিম ৪৩/১০, হাঃ ২৩০৬]

নাবী (সাঃ)-এর জন্য `হাওজ`এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৭৫. জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আমি তোমাদের আগে হাউযের ধারে পৌঁছব। [বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৮৯; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৮৯] ১৪৭৬. সাহ্‌ল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি তোমাদের আগে হাউযের ধারে পৌঁছব। যে আমার […]

মুহাম্মাদ (সাঃ) সর্বশেষ নাবী হওয়ার বর্ণনা।

১৪৭৩. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেন, আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নাবীগণের অবস্থা এমন, এক ব্যক্তি যেন একটি গৃহ নির্মাণ করিল, তাকে সুশোভিত ও সুসজ্জিত করিল, কিন্তু এক পাশে একটি ইটের জায়গা খালি রয়ে গেল। অতঃপর লোকজন এর চারপাশে ঘুরে আশ্চর্য হয়ে বলিতে লাগল ঐ শূন্যস্থানের […]

উম্মাতের উপর মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর দয়াদ্রতা ও যা তাহাদের ক্ষতি সাধন করিবে তা থেকে স্পষ্ট সতর্কীকরণ।

১৪৭২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, আমার ও লোকদের দৃষ্টান্ত এমন ব্যক্তির ন্যায়, যে আগুন জ্বালালো আর যখন তার চতুর্দিক আলোকিত হয়ে গেল, তখন পতঙ্গ ও ঐ সমস্ত প্রাণী যেগুলো আগুনে পড়ে, তারা তাতে পড়তে লাগলো। তখন সে সেগুলোকে আগুন থেকে বাঁচাবার জন্য টানতে […]

“হিদায়াত ও ইল্ম” যা নিয়ে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-কে পাঠানো হয়েছে তার দৃষ্টান্তের বর্ণনা।

১৪৭১. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা আমাকে যে হিদায়াত ও ইলম দিয়ে পাঠিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত হল যমীনের উপর পতিত প্রবল বর্ষণের ন্যায়। কোন কোন ভূমি থাকে উর্বর যা সে পানি শুষে নিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঘাসপাতা এবং সবুজ তরুলতা উৎপাদন করে। আর কোন কোন ভূমি থাকে […]

আল্লাহ তাআলার উপর তাহাঁর ভরসা এবং মানুষের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তাআলার তাঁকে হিফাযাত করণ।

১৪৭০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাজদের যুদ্ধে আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে যোগদান করেছি। কাঁটা গাছে ভরা উপত্যকায় প্রচণ্ড গরম লাগলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি গাছের নিচে অবতরণ করে তার ছায়ায় আশ্রয় নিলেন এবং তরবারিখানা লটকিয়ে রাখেন। সাহাবীগণ সকলেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়ার জন্য ছড়িয়ে পড়লেন। আমরা এ […]

নাবী (সাঃ)-এর মুজিযাসমূহ।

১৪৬৮. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-কে দেখলাম, তখন আসরের সালাতের সময় হয়ে গিয়েছিল। আর লোকজন উযূর পানি খুঁজতে লাগল কিন্তু পেল না। তারপর আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর নিকট কিছু পানি আনা হল। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] সে পাত্রে তাহাঁর হাত রাখলেন এবং লোকজনকে তা থেকে […]

খাবারের দোষ বর্ণনা না করা।

১৩৩৬. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] কখনো কোন খাবারকে মন্দ বলিতেন না। রুচি হলে খেতেন না হলে বাদ দিতেন। [বোখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ২৩ হাদীস নং ৩৫৬৩; মুসলিম ৩৬/৩৫, হাঃ ২০৬৪]

মুমিন খায় এক পেটে, কাফির খায় সাত পেটে।

১৩৩৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুমিন এক পেটে খায় আর কাফির অথবা মুনাফিক সাত পেটে খায়। [বোখারী পর্ব ৭০ অধ্যায় ১২ হাদীস নং ৫৩৯৪; মুসলিম ৩৬/৩৪, হাঃ ২০৬০] ১৩৩৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ এক লোক খুব বেশী পরিমাণে আহার করত। লোকটি মুসলিম হলে অল্প আহার […]