আল্লাহর ইচ্ছার সাথে অন্য ইচ্ছা মিলানো মাকরূহ ১৭৪৭. হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) বলেছেন, তোমরা কোন কথা এরূপে বল না যে আল্লাহ যা চান এবং অমুক যা চান সেরূপেই হবে। বরং এরূপে বল, আল্লাহর ইচ্ছা তারপর অমুকের ইচ্ছা। ( আবু দাউদ)
হে আল্লাহ্! তুমি চাইলে আমাকে মাফ কর, এরূপে দোয়া করা মাকরূহ বরং ঐকান্তিকভাবে চাওয়ার মধ্যে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকাতে হবে
দু’আ করার সময় ‘হে আল্লাহ! তুমি চাইলে আমাকে ক্ষমা কর’ এরূপ বলে দু’আ করা মাকরূহ; বরং নিশ্চিত মনোভাব নিয়ে দু’আ করবে। ১৭৪৫. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন একথা বলে দোয়া না করে, “হে আল্লাহ! তুমি ইচ্ছা করলে আমাকে ক্ষমা কর বরং দৃঢ়তা সহকারে […]
বিয়ে-শাদী ইত্যাদি শরীয়তসম্মত কোন কারণ ছাড়া পুরুষদের সামনে কোন নারীর শারীরিক সৌন্দর্য বর্ণনা করা নিষেধ
১৭৪৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, কোন নারী যেন তার অনাবৃত দেহ অপর কোন অনাবৃত নারীর দেহের সাথে না লাগায়। এবং সে যেন ঐ নারীর দেহের সৌন্দর্য স্বামীর সামনে এমনভাবে বর্ণনা না করে যেন সে তাকে দেখছে। (বুখারী ও মুসলিম)
ইনাব-কে (আঙ্গুর)-কে কারম বলা অপছন্দনীয়
‘ইনাব’ (আঙ্গুর)-কে ‘কারম’ বলা অপছন্দনীয় ১৭৪২. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ‘ইনাব’কে (আঙ্গুর) ‘কারম’ বলো না। কেননা কেবল মুসলিমানই ‘কারম’ হতে পারে। ( বুখারী ও মুসলিম) ১৭৪৩. হযরত ওয়ালে ইবনে হুজর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) বলেছেন, আঙ্গুর ফলকে ‘কারম’ বল না; বরং […]
আমার আত্মা কলুষিত, এ ধরনের কথা বলা নিষেধ
১৭৪১. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) বললেন, তোমাদের কেউ যেন নিজের সম্পর্কে এ কথা না বলে ‘আমার কলব কলুষিত হয়ে গিয়েছে; বরং এরকম বলতে পারে ‘আমার আত্মা মলিন হয়ে গেছে।’ (বুখারী ও মুসলিম)
আলাপ-আলোচনায় জটিল বাক্য প্রয়োগ করা মাকরূহ
সর্বসাধারণকে সম্বোধন করে কিছু বললে তাদের বোদগম্য ভাষায় বলতে হবে। এক্ষেত্রে টেনে টেনে কথা বলা, উচ্চাঙ্গের ভাষা প্রয়োগ, বাকপটুতা প্রদর্শন, অপ্রসিদ্ধ শব্দ ব্যবহার ইত্যাদি মাকরূহ। ১৭৩৮. হযরত আবদুল্লাহ মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, অতিশয়োক্তিকারীরা ধ্বংস হয়েছে। বাক্যটি তিনি তিনবার উল্লেখ করেছেন। (মুসলিম) ১৭৩৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল […]
অশ্লীল ও অশ্রাব্য কথা বলা নিষেধ
১৭৩৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, ঈমানদার ব্যক্তি ঠাট্টা-বিদ্রূপকারী, ভৎর্সনাকারী, অভিশস্পাতকারী, অশ্লীলভাষী ও বদমেজাজী হতে পারে না। (তিরমিযী) ১৭৩৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, অশ্লীলতা যে কোন জিনিসকে খারাপ করে দেয় এবং লজ্জাশীলতা কোন জিনিসকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে। (তিরমিযী)
মুসলিমকে কাফের বলে সম্বোধন করা নাজায়েয
মুসলমানকে কাফের বলা হারাম ১৭৩৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান তার অপর মুসলমান ভাইকে বলে, ‘হে কাফের’ তখন যে কোন একজনের উপর অবশ্যই বাক্যটি পতিত হয়। যাকে কাফের বলা হল, সত্যিই যদি সে কাফের হয়ে থাকে তবে কোন কথা নেই। কিন্তু […]
অমুক গ্রহের কারণে বৃষ্টি হয়েছে – মানুষের এমন মন্তব্য করা নিষেধ
১৭৩৩. হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদাইবিয়া নামক স্থানে আমাদেরকে ফজরের নামায কায়েম করালেন। উক্ত রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। নামায শেষ করে তিনি লোকদের দিকে ফিরে বলেন, তোমার কি জান তোমাদের প্রভু কি বলেছেন? সবাই বলল, আল্লাহ ও তার রাসূলই সর্বাধিক অবগত। তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন, আজ […]
মোরগকে গালি দেয়া মাকরূহ
১৭৩২. হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, তোমরা মোরগকে গালি দিবে না। কেননা, মোরগ নামাযের জন্য ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়। (আবু দাউদ)