আল্লাহ্র প্রশংসা ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ব
হাম্দ ও শোকরের ফযীলত
[Note: এ অধ্যায়ের কুরআনের আয়াত গুলো পরে আপডেট করা হবে]
১৩৯৩. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। যে রাতে নবী করীম (সা)-এর মি’রাজ হয়, সে রাতে তাঁর নিকট দু’টি পেয়ালা আনা হলো। তার একটিতে মদ ও অন্যটিতে ছিল দুধ। তিনি পেয়ালা দু’টি দেখলেন এবং দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলেন। হযরত জিবরাইল (আ) বললেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আপনাকে ফিতরাত তথা প্রকৃতিগত পথে (ইসলাম) পরিচালিত করেছেন। যদি আপনি মদের পেয়ালাটি গ্রহণ করতেন তবে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেতো। (মুসলিম)
১৩৯৪. হযরত আবু হুরাইরা (রা) রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ “প্রত্যেক মর্যাদাশীল কাজ আল্লাহর প্রশংসাসহ শুরু না করলে তা অসম্পূর্ণ হয়।” (এটি একটি হাসান হাদীস। ইমাম আবু দাউদ এবং আরও অনেকে এটি বর্ণনা করেছেন।)
১৩৯৫. হযরত আবু মূসা আশ’আরী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যখন কোন বান্দার সন্তানের মৃত্যু হয়, তখন মহান আল্লাহ তাঁর ফিরিশতাগণকে বলেনঃ তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জান কবয করেছ? ফিরিশতাগণ বলেন, হ্যাঁ। মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা তার কলিজার টুকরাকে কেড়ে নিয়েছ? ফিরিশতাগণ বলেন, হ্যাঁ। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলেন, আপনার প্রশংসা করলো এবং ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়লো। একথা শুনে মহান আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার ঘর) (তিরমিযী)
১৩৯৬. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ “আল্লাহ তাঁর সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, যে ব্যক্তি এক নেওলা খাবার খেয়ে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং এক ঢোক পানীয় পান করে তাঁর প্রশংসা করে।” (মুসলিম)