ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ঋণ লাঘব করা মুস্তাহাব ।

১০০৩. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ] একবার দরজায় ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পেলেন; দুজন তাহাদের আওয়াজ উচ্চ করেছিল। তাহাদের একজন আরেকজনের নিকট ঋণের কিছু মাফ করে দেয়ার এবং সহানুভূতি দেখানোর অনুরোধ করেছিল। আর অপর ব্যক্তি বলছিল, না, আল্লাহ্‌র কসম! আমি তা করব না। আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ] তাহাদের দুজনের কাছে এলেন এবং বলিলেন, সৎ কাজ করিবে না বলে যে আল্লাহ্‌র নামে কসম করেছে, সে ব্যক্তিটি কোথায়? সে বলিল, হে আল্লাহ্‌র রসূল ! আমি। সে যা পছন্দ করিবে তার জন্য তা-ই হইবে।

[বোখারী পর্ব ৫৩: /১০, হা: ২৭০৫; মুসলিম ২২/৪, হাঃ ১৫৫৭]


১০০৪. কাব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি মাসজিদের ভিতরে ইবনি আবু হাদরাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট তাহাঁর পাওনা ঋণের তাগাদা করিলেন। দুজনের মধ্যে এ নিয়ে বেশ উচ্চঃস্বরে কথাবার্তা হলো। এমনকি আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ] তাহাঁর ঘর হইতেই তাহাদের কথার আওয়াজ শুনলেন এবং তিনি পর্দা সরিয়ে তাহাদের নিকট বেরিয়ে গেলেন। আর ডাক দিয়ে বললেনঃ হে কাব! কাব [রাদি.] উত্তর দিলেন, লাব্বাইক ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমার পাওনা ঋণ হইতে এতটুকু ছেড়ে দাও। আর হাতে ইঙ্গিত করে বোঝালেন, অর্থাৎ অর্ধেক পরিমাণ। তখন কাব [রাদি.] বললেনঃ আমি তাই করলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি ইবনি আবু হাদরাদকে বললেনঃ উঠ, আর বাকীটা দিয়ে দাও।

[বোখারী পর্ব ৮: /৭১, হা: ৪৫৭; মুসলিম ২২/৪, হাঃ ১৫৫৮]

Was this article helpful?

Related Articles