দুগ্ধ বা দুধ পান বৈধ।

১৩০৭. বারা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন নাবী [সাঃআঃ] মাদীনাহ্‌র দিকে যাচ্ছিলেন তখন সুরাকা ইবনি মালিক ইবনি জুশাম তাহাঁর পেছনে ধাওয়া করিল। নাবী [সাঃআঃ] তার জন্য বদ্‌দুআ করিলেন। ফলে তার ঘোড়াটি তাকে নিয়ে মাটিতে দেবে গেল। তখন সে বলিল, আপনি আল্লাহ্‌র কাছে আমার জন্য দুআ করুন। আমি আপনার কোন ক্ষতি করব না। নাবী [সাঃআঃ] তার জন্য দুআ করিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এক সময় রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তৃষ্ণার্ত হলেন। তখন তিনি এক রাখালের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবু বাক্‌র সিদ্দীক [রাদি.] বলেন, তখন আমি একটি বাটি নিয়ে এতে কিছু দুধ দোহন করে নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে নিয়ে এলাম, তিনি এমনভাবে তা পান করিলেন যে, আমি তাতে সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম।

[বোখারী পর্ব ৬৩ অধ্যায় ৪৫ হাদীস নং ৩৯০৮; মুসলিম ৩৬/১০, হাঃ নং ২১৪৬]


১৩০৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে রাতে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বাইতুল মুকাদ্দাসে ভ্রমণ করানো হয়, সে রাতে তাহাঁর সামনে দুটি পেয়ালা রাখা হয়েছিল। তার একটিতে ছিল শরাব এবং আরেকটিতে ছিল দুধ। তিনি উভয়টির দিকে তাকালেন এবং দুধ বেছে নিলেন। তখন জিবরীল [আঃ] বলিলেন, সমস্ত প্রশংসা সে আল্লাহ্‌র, যিনি আপনাকে স্বাভাবিক পথ দেখিয়েছেন। যদি আপনি শরাব বেছে নিতেন, তাহলে আপনার উম্মাত অবাধ্য হয়ে যেত

। [বোখারী পর্ব ৬৫ অধ্যায় ১৭ হাদীস নং ৪৭০৯; মুসলিম ৩৬/১০, হাঃ ১৬৮]

Was this article helpful?

Related Articles