সন্তানের মৃত্যুতে সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণের ফাযীলাত।

১৬৮৯. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মুসলিমের তিনটি [নাবালিগ] সন্তান মারা গেল, তবুও সে জাহান্নামে প্রবেশ করিবে, এমন হইবে না। তবে কেবল কসম পূর্ণ হওয়ার পরিমাণ পর্যন্ত।

[বোখারী পর্ব ২৩ অধ্যায় ৬ হাদীস নং ১২৫১; মুসলিম ৪৫ অধ্যায় ৪৭, হাঃ ২৬৩২]


১৬৯০. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে বলিল, হে আল্লাহ্‌র রসূল ! আপনার হাদীস তো কেবলমাত্র পুরুষ শুনতে পায়। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিন, যে দিন আমরা আপনার নিকট আসব, আল্লাহ্ আপনাকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে আপনি আমাদের শিক্ষা দেবেন। তিনি বললেনঃ তোমরা অমুক অমুক দিন অমুক অমুক স্থানে সমবেত হইবে। তারপর [নির্দিষ্ট দিনে] তাঁরা সমবেত হলেন এবং নাবী [সাঃআঃ] তাহাদের কাছে এলেন এবং অল্লাহ্ তাঁকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে তাহাদের শিক্ষা দিলেন। এবং বললেনঃ তোমাদের কেউ যদি সন্তানদের থেকে তিনটি সন্তান আগে পাঠিয়ে দেয় [মৃত্যুবরণ করে] তাহলে এ সন্তানরা তার জন্য জাহান্নামের পথে অন্তরায় হয়ে যাবে। তাহাদের মাঝ থেকে একজন মহিলা জিজ্ঞেস করিল, হে আল্লাহ্‌র রসূল ! যদি দুজন হয়? বর্ণনাকারী বলেন, মহিলা কথাটি পরপর দুবার জিজ্ঞেস করিলেন। তারপর নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ দুজন হলেও, দুজন হলেও, দুজন হলেও।

[বোখারী পর্ব ৯৬ অধ্যায় ৯ হাদীস নং ৭৩১০; মুসলিম ৪৫ অধ্যায় ৪৭, হাঃ ২৬৩৩]


১৬৯১. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুর রহমান আল-আসবাহানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি].আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এমন তিনজন, যারা সাবালক হয়নি।

[বোখারী পর্ব ৩ অধ্যায় ৩৫ হাদীস নং ১০২; মুসলিম ৪৫ অধ্যায় ৪৭, হাঃ ২৬৩৪]

Was this article helpful?

Related Articles