৯৯৩. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু লোকের অতিরিক্ত ভূসম্পত্তি ছিল। তারা পরস্পর পরামর্শ করে ঠিক করিল যে, এগুলো তারা তিন ভাগের এক ভাগ, চার ভাগের এক ভাগ বা অর্ধেক হিসাবে ইজারা দিবে। এ কথা শুনে আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, কারো অতিরিক্ত জমি থাকলে হয় সে নিজেই চাষ করিবে, কিংবা তার ভাইকে তা [চাষ করিতে] দিবে। আর তা না করিতে চাইলে তা নিজের কাছেই রেখে দিবে।
[বোখারী পর্ব ৫১ : /৩৫, হাঃ ২৬৩২; মুসলিম ২১/১৭, হাঃ ১৫৩৬] লুলু ওয়াল মারজান -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৯৯৪. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যার নিকট জমি রয়েছে, সে যেন তা নিজে চাষ করে, অথবা তার ভাইকে দিয়ে দেয়, যদি এটাও না করিতে চায়, তবে সে যেন তার জমি ফেলে রাখে
। [বোখারী পর্ব ৪১ : /১৮, হাঃ ২৩৪১; মুসলিম ২১/১৭, হাঃ ১৫৪৪] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৯৯৫. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] মুযাবানা ও মুহাকালা বারণ করিয়াছেন। মুযাবানার অর্থ- শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের মাথায় অবস্থিত তাজা খেজুর ক্রয় করা।
[বোখারী পর্ব ৩৪: /৮২, হাঃ ২১৮৬; মুসলিম ২১/১৭, হাঃ ১৫৪৬] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৯৯৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর সময়ে এবং আবু বাকর, উমার, উসমান, মুআবিয়াহ [রাযিয়াল্লাহু আনহুম] এর শাসনের শুরুতে ভাগে নিজের ক্ষেতে বর্গাচাষ করিতে দিতেন।
তারপর রাফি ইবনি খাদীজের বর্ণিত। হাদীসটি তাহাঁর নিকট বর্ণনা করা হয় যে, নাবী [সাঃআঃ] ক্ষেত ভাগে ইজারাহ দিতে নিষেধ করিয়াছেন। তখন ইবনি উমার [রাদি.] রাফি [রাদি.]-এর নিকট গেলেন। আমিও তাহাঁর সঙ্গে গেলাম। তিনি [ইবনি উমার] তাঁকে জিজ্ঞেস করিলেন। তিনি {রাফি [রাদি.]} বলিলেন, নাবী [সাঃআঃ] ক্ষেত ভাগে ইজারাহ দিতে নিষেধ করিয়াছেন। তখন ইবনি উমার [রাদি.] বলিলেন, আপনি তো জানেন যে, আমরা আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ]-এর যামানায় নালার পার্শ্বস্থ ক্ষেতের ফসলের শর্তে এবং কিছু ঘাসের বিনিময়ে আমাদের ক্ষেত ইজারাহ দিতাম।
[বোখারী পর্ব ৪১: /১৮, হাঃ ২৩৪৩, ২৩৪৪; মুসলিম ২১/১৭, হাঃ ১৫৪৭] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস