৪৫৮. বারআ ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সাহাবী সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করছিলেন। তাহাঁর বাড়িতে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। ঘোড়াটি তখন লাফালাফি করিতে লাগল। তখন ঐ সাহাবী শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ্র দরবারে দুআ করিলেন। তখন তিনি দেখলেন, একখণ্ড মেঘ এসে তাকে ঢেকে দিয়েছে। তিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করিলেন। তখন তিনি বলিলেন, হে অমুক! তুমি এভাবে তিলাওয়াত করিবে। এটা তো প্রশান্তি ছিল, যা কুরআন তিলাওয়াতের কারণে নাযিল হয়েছিল।
[বোখারী পর্ব ৬১ : /২৫ হাঃ ৩৬১৪, মুসলিম ৬/৩৬ হাঃ ৭৯৫] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৪৫৯. উসাইদ ইবনি হুযাইর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
একদা রাত্রে তিনি সুরা আল-বাকারাহ পাঠ করছিলেন। তখন তাহাঁর ঘোড়াটি তারই পাশে বাঁধা ছিল। হঠাৎ ঘোড়াটি ভীত হয়ে লাফ দিয়ে উঠল এবং ছুটাছুটি শুরু করিল। যখন পাঠ বন্ধ করিলেন তখনই ঘোড়াটি শান্ত হল। আবার পাঠ শুরু করিলেন। ঘোড়াটি আগের মত করিল। যখন পাঠ বন্ধ করিলেন ঘোড়াটি শান্ত হল। আবার পাঠ আরম্ভ করলে ঘোড়াটি আগের মত করিতে লাগল। এ সময় তার পুত্র ইয়াহইয়া ঘোড়াটির নিকটে ছিল। তার ভয় হচ্ছিল যে, ঘোড়াটি তার পুত্রকে পদদলিত করিবে। তখন তিনি পুত্রকে টেনে আনলেন এবং আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু দেখিতে পেলেন। পরদিন সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে উক্ত ঘটনা বলিলেন। ঘটনা শুনে নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ হে ইবনি হুযইর [রাদি.]! তুমি যদি পাঠ করিতে, হে ইবনি হুযইর [রাদি.]! তুমি যদি পাঠ করিতে। ইবনি হুযয়র আরয করিলেন, আমার ছেলেটি ঘোড়ার নিকট থাকায় আমি ভয় পেয়ে গেলাম হয়ত বা ঘোড়াটি তাকে পদদলিত করিবে, সুতরাং আমি আমার মাথা উপরে উঠাতেই মেঘের মত কিছু দেখলাম, যা আলোর মত ছিল। আমি যখন বাইরে এলাম তখন আর কিছু দেখ্লাম না। তখন নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তুমি কি জান, ওটা কী ছিল? বলিলেন, না। তখন নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তারা ছিল মালাইকাহ। তোমার তিলাওয়াত শুনে তোমার কাছে এসেছিল। তুমি যদি সকাল পর্যন্ত তিলাওয়াত করিতে তারাও ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে অবস্থান করত এবং লোকেরা তাহাদেরকে দেখিতে পেত।
[বোখারী পর্ব ৬৬ : /১৫ হাঃ ৫০১৮, মুসলিম ৬/৩৬, হাঃ ৭৯৬] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস