পরনিন্দা বা গীবত গুনা হারাম
আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন,
“যখন তারা অনর্থক কথা শুনে তখন দূরে সরে যায়।”
(সূরা কাসাসঃ ৫৫)
তিনি আরো বলেছেন,
“(তারাই মু’মিন) যারা অনর্থক কাজ হতে দূরে থাকে।”
(সূরা মু’মিনূনঃ ৩)
তিনি আরো বলেছেন,
“জেনে রেখ, শ্রবণ-শক্তি দৃষ্টি-শক্তি, অন্তঃকরণ এসব কিছুর জন্যই জওয়াবদিহি করতে হবে।”
(সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩৬)
তিনি আরো বলেছেন,
“তুমি যখন দেখতে পাবে লোকেরা আমার আয়তসমূহের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করছে, তখন তাদের কাছ হতে সরে যাও যে পর্যন্ত তারা এ প্রসঙ্গের কথাবার্তা বন্ধ করে অন্য কোন কথায় লিপ্ত না হয়। শয়তান যদি কখনো তোমাকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেয়, তবে যখনি তোমার এ ভুলের অনুভূতি হবে আর এ জালেমদের সঙ্গে কখনো বসবে না।”
(সূরা আনয়ামঃ ৬৮)
১৫২৯. হযরত আবু দারদা (রা) নবী করীম (স) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইদের ইজ্জত রক্ষা করল আল্লাহ তায়ালা কোয়ামতের দিন তার মুখমণ্ডলকে দোযখের আগুন হতে রক্ষা করবেন।” (তিরমিযী)
১৫৩০. হযরত ইত্বান ইবনে মালেক (রা) এক দীর্ঘ হাদীসে (যা পূর্বে আশা অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে।) তিনি বলেন, নবী করীম (স) একদিন নামাযে দাঁড়ালেন এবং বললেন, মালেক ইবনুদ্দুখশুম কোথায়? এক ব্যক্তি বলল, সে তো একজন মুনাফিক। সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে মহব্বত করে না। নবী করীম (স) বললেন, তুমি এরকম কথা বল না। তুমি কি জানো না, সে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু” (আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই) বলেছে এবং এর দ্বারা আল্লাহ্ সন্তুষ্টি অর্জনই তার উদ্দেশ্য। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু” অর্থাৎ (আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই) বলে, আল্লাহ্ তাকে দোযখের আগুনের জন্য হারাম করে দেন। (বুখারী ও মুসলিম)
১৫৩১. হযরত কা’ব ইবনে মালেক (রা) তাঁর তওবার ঘটনা সম্মিলিত এক সুদীর্ঘ হাদীসে যা তওবা অনুচ্ছেদ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাবূকে সাহাবীগণের সাথে বসে নবী করীম (স) বললেন, কা’ব ইবনে মালেকর কি হল? বনী সালামা গোত্রের এক ব্যক্তি বলল, ইয়া আল্লাহর রাসূল। তাকে তার দুই চাদর এবং তার দুই পার্শ্বের দিকে দৃষ্টি আটকে রেখেছে। তখন মুআয ইবনে জাবাল (রা) ব্যক্তিটিকে বললেন, তুমি খুব মন্দ কথা বললে। আল্লাহ্ শপথ! ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা তার সম্পর্কে ভাল ছাড়া অপর কিছুই জানি না। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (স) নীরব থাকলেন। (বুখারী ও মুসলিম)