১৪৯৬. হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “ যে ব্যক্তির কোন উপকার বা ভাল করা হয় এবং এর জবাবে সে তার উপকারকারীকে বলে, “জাযাকাল্লাহু খাইরান” (অর্থাৎ আল্লাহ্ তোমাকে ভাল প্রতিদান দিন) সে পুরোপুরি তার প্রশংসা (ও প্রতিবদল দান) করল।” (তিরমিযী)
১৪৯৭. হযরত জাবের (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “ নিজের জন্য বদ দুআ করো না, নিজের সন্তানদের জন্য মন্দ দুআ করো না, নিজের সম্পদের ব্যাপারে মন্দ দুআ করো না। কারণ এ মন্দ দুআর সময়টি সে সময়ে পড়ে যেতে পারে যে সময় আল্লাহ কাছে কোন কিছুর জন্য প্রার্থনা করলে সাথে সাথে কবূল হয়ে যায়। এভাবে এ বদ দুআটিও কবূল হয়ে যেতে পারে। (মুসলিম)
১৪৯৮. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “বান্দা যখন সেজদায় থাকে তখন তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। কাজেই (সেজদায় গিয়ে) খুব বেশি করে দুআ কর।” (মুসলিম)
১৪৯৯. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “তোমাদের কারো দুআ কবূল করা হয় যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে। সে বলেঃ আমি আমার রবের কাছে দোয়া করেছিলাম; কিন্তু আমার দুআ কবূল করা হয় নি।” (বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, বান্দার দোয়া বরাবর মঞ্জুর করা হয় যে পর্যন্ত সে কোন পাপ বা আত্মিয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দোয়া না করে এবং যতক্ষণ সে তাড়াহুড়া করে না। জিজ্ঞেস করা হলঃ হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াহুড়া বলতে কি বুঝাচ্ছেন? তিনি বললেন, “দুআকারীর এরূপ বলা- আমি অনেক দুআ করেছি; কিন্তু আমার দুআ কবূল হতে দেখলাম না। ফলে সে নিরাশ হয়ে যায় এবং দুআ করা পরিত্যাগ করে।
১৫০০. হযরত আবু উমামাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স)-কে বলা হেলো, কোন দুআ অধিক কবুল হয়? তিনি বললেনঃ “ শেষ রাতের মধ্যকালের ও ফরয নামাযের পরের দুআ।(তিরমিযী)
১৫০১. হযরত উবাদা ইবনে সামেত (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, পৃথিবীর যে কোন মুসলমান মহান আল্লহর কাছে দুআ করলে তিনি তাকে তা দান করেন অথবা সে ধরনের কোন অনিষ্টকারিতা তার থেকে দূর করেন, যে পর্যন্ত না সে কোন পাপ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দুআ করে।” উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বলল, এবার থেকে তাহলে তো আমরা বেশি করে দুআ করব। রাসূলুল্লাহ (স) বললেন, “আল্লাহও তোমাদের দুআ বেশি বেশি করে কবুল করবেন।” (তিরমিযী)
১৫০২. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা)থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) কষ্টের সময় বলতেন, অর্থাৎ “আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্য মা’বুদ নেই, যিনি সুমহান ও সহিষ্ণু। আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই, যিনি সুবৃহৎ আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ নেই, যিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও সন্মানিত আরশের অধিপতি।” (বুখারী ও মুসলিম)