৩৩১. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] খায়বারের যুদ্ধের সময় বলেন, যে ব্যক্তি এই জাতীয় বৃক্ষ হইতে অর্থাৎ কাঁচা রসুন খায় সে যেন অবশ্যই আমাদের মাসজিদে না আসে। ইবনি আবদুল্লাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেউ যদি এ জাতীয় গাছ হইতে খায়, তিনি এ দ্বারা রসুন বুঝিয়েছেন, সে যেন আমাদের মাসজিদে না আসে। [রাবী আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন] আমি জাবির [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী [সাঃআঃ]-এর দ্বারা কী বুঝিয়েছেন [জাবির [রাদি.] বলেন, আমার ধারণা যে, নাবী [সাঃআঃ]-এর দ্বারা কাঁচা রসুন বুঝিয়েছেন এবং মাখ্লাদ ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি জুরাইজ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে দুর্গন্ধযুক্ত হবার কথা উল্লেখ করিয়াছেন।
[বোখারী পর্ব ১০ : /১৬০ হাঃ ৮৫৩, মুসলিম ৫/১৭ হাঃ ৫৬১] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৩২. আবদুল আযীয [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, আপনি নাবী [সাঃআঃ]-কে রসুন খাওয়া সম্পর্কে কী বলিতে শুনেছেন? তখন আনাস [রাদি.] বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এ জাতীয় গাছ হইতে খায় সে যেন অবশ্যই আমাদের নিকট না আসে এবং আমাদের সাথে সলাত আদায় না করে।
[বোখারী পর্ব ১০ : /১৬০ হাঃ ৮৫৬, মুসলিম ৫/১৭, হাঃ ৫৬৩] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৩৩.জাবির ইবনি আবদুল্লাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন বা পিঁয়াজ খায় সে যেন আমাদের হইতে দূরে থাকে অথবা বলেছেন, সে যেন আমাদের মাসজিদ হইতে দূরে থাকে আর নিজ ঘরে বসে থাকে। [উক্ত সনদে আরো বর্ণিত আছে যে] নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট একটি পাত্র যার মধ্যে শাক-স্বব্জী ছিল, আনা হলো। নাবী [সাঃআঃ] এর গন্ধ পেলেন এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করিলেন, তখন তাঁকে সে পাত্রে রক্ষিত শাক-সব্জী সম্পর্কে অবহিত করা হলো, তখন একজন সাহাবী [আবু আইয়ুব [রাদি.]-কে উদ্দেশ্য করে বলিলেন, তাহাঁর নিকট এগুলো পৌঁছিয়ে দাও। কিন্তু তিনি তা খেতে অপছন্দ মনে করবেন, এ দেখে নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি খাও। আমি যাঁর সাথে গোপনে আলাপ করি তাহাঁর সাথে তুমি আলাপ কর না [ফেরেশ্তার সাথে আমার আলাপ হয়, তাঁরা দুর্গন্ধকে অপছন্দ করেন]।
[বোখারী পর্ব ১০ : /১৬০ হাঃ ৮৫৫, মুসলিম ৫/১৭, হাঃ ৫৬৪]নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস