সলাতে কথা বলা নিষিদ্ধ এবং তা [কথা বলা]র বৈধতা রহিত হওয়া প্রসঙ্গে।

৩১১. আবদুল্লাহ্ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ]-কে তাহাঁর সলাতরত অবস্থায় সালাম করতাম; তিনি আমাদের সালামের জওয়াব দিতেন। পরে যখন আমরা নাজাশীর নিকট হইতে ফিরে এলাম, তখন তাঁকে [সালাত আদায়রত অবস্থায়] সালাম করলে তিনি আমাদের সালামের জবাব দিলেন না এবং পরে ইরশাদ করলেনঃ সলাতে অনেক ব্যস্ততা ও নিমগ্নতা রয়েছে।

[বোখারী পর্ব ২১: /২ হাঃ ১১৯৯, মুসলিম ৫/৭, হাঃ ৫৩৮] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৩১২. যায়দ ইবনি আরকাম [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর সময়ে সলাতের মধ্যে কথা বলতাম। আমাদের যে কেউ তার সঙ্গীর সাথে নিজ দরকারী বিষয়ে কথা বলত। অবশেষে এ আয়াত নাযিল হল-

حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا للهِ قَانِتِينَ

“তোমরা তোমাদের সলাতসমূহের সংরক্ষণ কর ও নিয়ানুমবর্তিতা রক্ষা কর; বিশেষ মধ্যবর্তী [আসর] সলাতে, আর তোমরা [সলাতে] আল্লাহ্‌র উদ্দেশে একাগ্রচিত্ত হও”- [আল-বাক্বারাহ্ঃ ২৩৮। তারপর থেকে আমরা সলাতে নীরব থাকতে আদিষ্ট হলাম

। [বোখারী পর্ব ৬৫ : /৪৩ হাঃ ১২০০, মুসলিম ৫/৭, হাঃ ৫৩৯] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৩১৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আমাকে তাহাঁর একটি কাজে পাঠালেন, আমি গেলাম এবং কাজটি সেরে ফিরে এলাম। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ]-কে সালাম করলাম। তিনি জবাব দিলেন না। এতে আমার মনে এমন খটকা লাগল যা আল্লাহ্ই ভাল জানেন। আমি মনে মনে বললাম, সম্ভবত আমি বিলম্বে আসার কারণে নাবী [সাঃআঃ] আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম; তিনি জওয়াব দিলেন না। ফলে আমার মনে প্রথম বারের চেয়েও অধিক খটকা লাগল। [সলাত শেষে] আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম। এবার তিনি সালামের জওয়াব দিলেন এবং বললেনঃ সলাতে ছিলাম বলে তোমার সালামের জওয়াব দিতে পারিনি। তিনি তখন তাহাঁর বাহনের পিঠে কিব্‌লা হইতে ভিন্নমুখী ছিলেন।

[বোখারী পর্ব ২১ : /১৫ হাঃ ১২১৭, মুসলিম ৫/৭, হাঃ ৫৪০] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles