৯০৮. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রিফাআ কুরাযীর স্ত্রী নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিল, আমি রিফাআর স্ত্রী ছিলাম। কিন্তু সে আমাকে বায়েন তালাক দিয়ে দিল। পরে আমি আবদুর রহমান ইবনি যুবাইরকে বিয়ে করলাম। কিন্তু তার সঙ্গে রয়েছে কাপড়ের আঁচলের মতো নরম কিছু [অর্থাৎ তার পুরুষত্ব নাই]। তখন নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তবে কি তুমি রিফাআর নিকট ফিরে যেতে চাও? না, তা হয় না, যতক্ষণ না তুমি তার মধুর স্বাদ গ্রহণ করিবে আর সে তোমার মধুর স্বাদ গ্রহণ করিবে। আবু বকর [রাদি.] তখন তাহাঁর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন। আর খালিদ ইবনি সাঈদ ইবনি আস [রাদি.] দ্বারপ্রান্তে প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বলিলেন, হে আবু বাক্র! এই নারী নাবী [সাঃআঃ]-এর দরবারে উচ্চ আওয়াজে যা বলছে, তা কি আপনি শুনতে পাচ্ছেন না?
[বোখারী পর্ব ৫২: /৩, হাঃ ২৬৩৯; মুসলিম ১৬/১৭, হাঃ ১৪৩৩]। এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৯০৯. মুহাম্মাদ ইবন বাশাশার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দিলে সে [স্ত্রী] অন্যত্র নিকাহ করিল। পরে দ্বিতীয় স্বামীও তাকে ত্বলাক্ব দিল। নাবী [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করা হলঃ মহিলাটি কি প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হইবে? তিনি বললেনঃ না। যতক্ষণ না সে [দ্বিতীয় স্বামী] তার স্বাদ গ্রহণ করিবে, যেমন করেছিল প্রথম স্বামী।
[বোখারী পর্ব ৬৮: /৪, হাঃ ৫২৬১; মুসলিম ১৬/১৭, হাঃ ১৪৩৩]। এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস