৯৩৬. আবদুল্লাহ্ ইবন ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দেন। উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে নির্দেশ দাও, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং নিজের কাছে রেখে দেয় যতক্ষণ না সে মহিলা পবিত্র হয়ে আবার ঋতুবতী হয় এবং আবার পবিত্র হয়। অতঃপর সে যদি ইচ্ছে করে, তাকে রেখে দিবে আর যদি ইচ্ছে করে তবে সহবাসর পূর্বে তাকে ত্বলাক (তালাক) দেবে। আর এটাই ত্বলাকের (তালাক) নিয়ম, যে নিয়মে আল্লাহ্ তা’আলা স্ত্রীদের ত্বলাক (তালাক) দেয়ার বিধান দিয়েছেন।
৯৩৭. ইউনুস ইবনু যুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ’উমারকে (হায়িয অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দেয়া সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ ইবনু উমার (রাঃ) তার স্ত্রীকে হায়িয অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দিলে, ’উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। তিনি স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য তাকে আদেশ দেন। এরপর বলেনঃ ইদ্দাতের সময় আসলে সে ত্বলাক (তালাক) দিতে পারে। রাবী বলেন, আমি বললাম, এ ত্বলাক (তালাক) কি হিসাবে ধরা হবে? ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেনঃ তবে কি মনে করছ, যদি সে অক্ষম হয় বা বোকামী করে। (তাহলে দায়ী কে?)।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৬৮ : ত্বালাক (বিবাহ বিচ্ছেদ), অধ্যায় ৪৫, হাঃ ৫৩৩৩; মুসলিম, পর্ব ১৮ : তুলাক, অধ্যায়, হাঃ ১৪৭১