অন্যায় কাজে গমনের উদ্দেশ্য ছাড়া রমাযান মাসে মুসাফিরের জন্য সওম রাখা বা ভঙ্গ করা বৈধ হবে যদি তার সফরের দূরত্বের পরিমাণ দু’ মারহালা বা তার অধিক হয়।

১৩/১৫.

৬৮০. ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় কোন এক রমাযানে মাক্কাহর পথে যাত্রা করলেন। কাদীদ নামক স্থানে পৌঁছার পর তিনি সওম ভঙ্গ করে ফেললে লোকেরা সকলেই সওম ভঙ্গ করলেন। (বুখারী পর্ব ৩০ : /৩৪ হাঃ ১৯৪৪, মুসলিম ১৩/১৫, হাঃ ১১১৩)


৬৮১. জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সফরে ছিলেন, হঠাৎ তিনি লোকের জটলা এবং ছায়ার নিচে এক ব্যক্তিকে দেখে জিজ্ঞেস করলেনঃ এর কী হয়েছে? লোকেরা বলল, সে সায়িম (সওম পালনকারী)। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সফরে সওম পালনে কোন সওয়াব নেই। (বুখারী পর্ব ৩০ : /৩৬ হাঃ ১৯৪৬, মুসলিম ১৫/১৩, হাঃ ১১১৫)


৬৮২. আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সফরে যেতাম। সায়িম ব্যক্তি গায়ের সায়িমকে (যে সওম পালন করছে না) এবং গায়ের সায়িম ব্যক্তি সায়িমকে দোষারোপ করত না। (বুখারী পর্ব ৩০ : /৩৭ হাঃ ১৯৪৭, মুসলিম ১৩/১৫, হাঃ ১১১৮)


 

Was this article helpful?

Related Articles