সঠিক নিয়্যত করুনঃ
‘নিশ্চয়ই সকল আমলই নিয়্যত অনুযায়ী নিয়্যত অনুযায়ী হয়ে থাকে, প্রত্যেকে তাই লাভ করে যা সে নিয়্যত করে।’ ১৮১
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
জেনে রাখুন, ঘুমানো, খাওয়া, কাজ করা এবং অন্যান্য বৈধ কাজ গুলো আল্লাহর আনুগত্যের কাজ এবং তাঁর নৈকট্যের উপায় হতে পারে। একজন তার এইসব কার্যাবলীর জন্য অনেক আযর লাভ করতে পারে, যখন সে এগুলো করার সময় আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিয়্যত করে। যেমন কেউ যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যায় এই নিয়্যতে যে, সে যেন ক্বিয়ামুল লাইল এর জন্য জাগতে পারে, তাহলে তার ঘুমটি ইবাদতে পরিণত হবে। এটি সকল বৈধ কাজের ক্ষেত্রেই সঠিক।
অনেক ইবাদতকে একত্রিত করণ
যে তাদের সময়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে জানে সেই জানে কিভাবে একটি সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে অনেক ইবাদতকে একত্রিত করা যায়।
এখানে কিছু উদাহরণ দেয়া হলঃ
- যেমন আপনি যখন মসজিদে সলাত আদায় করতে যান পায়ে হেটে কিংবা গাড়িতে করে, এই কাজটিই স্বয়ং একটি ইবাদাহ। কিন্ত অনুরূপ সময়কেই আল্লাহর যিকর, কুরআন তিলাওয়াতের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে একটি সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক ইবাদাহকে একত্রিত করা হল।
- আপনি যখন কোন ওয়ালীমাতে যান যাতে মন্দ কোন কাজ হয় না, এটিই একটি ইবাদাহ। কিন্তু অনুরূপ সময়েই আপনি মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করতে পারেন এবং আল্লাহর স্মরণ করতে পারেন।
- একজন মহিলা ঘরে অবস্থান করা, বাড়ির লোকদের কাজ করা একটি ইবাদাত যখন সে এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য কামনা করে। অনুরুপ সময়েই সে তার সময়কে আল্লাহর যিকর, ইসলামিক লেকচার ইত্যাদি শুনার মাধ্যমে অন্যান ইবাদত করতে পারে।
ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যখন আমরা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে এক বৈঠকে ছিলাম আমরা গণনা করে দেখেছি তিনি একশতবার বলেন,
রাব্বিগ ফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়্যা ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুর রাহীম। (অর্থ- হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমি আপনার নিকট ফিরে আসছি। নিশ্চয়ই আপনি সবচেয়ে ক্ষমাশীল এবং সবচেয়ে দয়াময়।) ১৮২
চিন্তা করে দেখুন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে একটি সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দু’টি ইবাদত করেন;
- আল্লাহর স্মরণ এবং তাঁর ক্ষমা প্রার্থণা।
- সাহাবীদের সাথে বসা এবং তাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দেয়া্