আযানের ক্ষেত্রে পাঁচটি সুন্নাহ রয়েছে যা ইবনুল ক্বাইয়্যেম তাঁর “যাদ আল মা‘আদ” কিতাব -এ উল্লেখ করেছেনঃ
১। যে ব্যক্তি আযান শুনবে মুআযযিন যা বলে সে তাই পুনরাবৃত্তি করবে শুধু
এর জবাবে বলবেঃ
অর্থঃ ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন শক্তি এবং ক্ষমতা নেই।*৫০
এই সুন্নাহর উপকারিতা হচ্ছে এটি জান্নাতকে অপরিহার্য করে দেয় যা মুসলিমের বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
২। আযান শোনার পরে বলবেঃ
অর্থঃ ‘আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া ইবাদতযোগ্য কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। এবং আমি আরও স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা এবং রাসূল। আমি আল্লাহকে রব এবং মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসূল হিসেবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে নিয়ে সন্তুষ্ট।*৫১
এই সুন্নাহর উপকারিতা হচ্ছে ঐ ব্যক্তির গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হবে।
৩ । অতঃপর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর সলাত এবং সালাম (দরূদ) প্রেরণ করা।*৫২
পূর্ণ দরূদে ইবরাহীমঃ
৪। অতঃপর এই দু‘আ পাঠ করাঃ
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের রব এবং যে সলাত কায়েম হবে তার মালিক, মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দান করুন ওয়াসীলাহ এবং ফাদীলাহ যার ওয়াদা আপনি তাঁকে করেছন।*৫৪
এই দু‘য়া পাঠ করার উপকারিতা হচ্ছে পুনরুত্থান দিবসে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জন্য সুপারিশ করবেন।
৫। অবশেষে নিজের জন্য দো’আ পাঠ করাঃ
‘বল, যেমন তারা (মুআযযিন) বলে, যখন তা সম্পন্ন করবে চাও (দো’আ কর) তোমাকে তা দেয়া হবে।*৫৫
* ৫০ আল বুখারী হা/৬১৩ এবং মুসিলিম হা/৩৮৫। * ৫১ মুসিলিম হা/৩৮৬। * ৫২ মুসিলিম হা/৩৮৪। * ৫৩ আল বুখারী হা/৩৩৭০। * ৫৪ আল বুখারী হা/৬১৪। * ৫৫ আবু দাউদ হা/৫২৪।