বাতাসকে গালি দেয়া নিষেধ, আর বায়ু প্রবাহের সময় কি বলতে হয়?
১৭২৯. হযরত আবু মুনযির ওবাই ইবনে কা’ব (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, তোমরা বায়ুকে গালি দিবে না। যখন তোমরা বায়ুকে তোমাদের ইচ্ছার বিপক্ষে দেখবে তখন বলবে, হে আল্লাহ! আমরা এ বায়ু হতে কল্যাণ চাই, এর মধ্যে যে কল্যাণ নিহিত রয়েছে, তা থেকে এবং একে যে কল্যাণ সাধনের আদেশ দেয়া হয়েছে তাও আমরা চাই। আর আমরা এ বায়ুর অনিষ্ট হতে তোমার আশ্রয় চাই। এর মধ্যে যে ক্ষতি নিহিত রয়েছে তা হতে এবং একে যে ক্ষতি সাধনের জন্য নির্দেশ হয়েছে তা হতে আশ্রয় চাই। (তিরমিযী) ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসটি হাসান ও সহীহ।
১৭৩০. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছি, বায়ু আল্লাহর একটি রহমত। তা কখনো কল্যাণ ও অনুগ্রহ বয়ে নিয়ে আসে, আবার কখনো আযাবের কারণ হয়ে দেখা দেয়। অতএব, তোমরা বায়ু দেখলে গালি দিবে না; বরং আল্লাহর কাছে তা হতে কল্যাণ পাওয়ার জন্য কামনা কর এবং সর্বপ্রকার অনিষ্টতা হতে বাচাঁর জন্য আল্লাহর আশ্রয় কামনা কর। ( আবু দাউদ )
১৭৩১. হযরত আশেয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (স) যখন প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে দেখতেন তখন এ বলে দোয়া করতেন। “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এই বাতাস থেকে কল্যাণ চাই, এর মধ্যে যে কল্যাণ নিহিত রয়েছে এবং যে কল্যাণসহ এ বাতাসকে প্রেরণ করা হয়েছে তাও চাই। আর আমি এর ক্ষতি থেকে, এর মধ্যে যে ক্ষতি রয়েছে তা থেকে এবং যে ক্ষতিসহ একে পাঠানো হয়েছে তা থেকেও তোমার কাছে আশ্রয় চাই।” ( মুসলিম)