স্বেচ্ছায় মিথ্যা শপথ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
১৭১৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) বলেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের ধন-সম্পদ অবৈধভাবে লাভ করার জন্য মিথ্যা শপথ করল সে মহাপ্রলয়ের দিন আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে, আল্লাহ তার প্রতি চরমভাবে অসন্তুষ্ট। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (স) এ কথার সমর্থনে আমাদের সামনে কুরআনের এ আয়াতখানা পাঠ করেন,…… অর্থাৎ
“যারা আল্লাহর সাথে করা প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথসমূহ সামান্য মূল্যের পার্থিব স্বার্থের বিনিময়ে বিক্রি করে, আখেরাতে তাদের জন্য কোন অংশ সুনির্দিষ্ট নেই। কেয়ামত দিবসে না আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন; না তাদের প্রতি করুনার দৃষ্টিতে চেয়ে দেখবেন আর না তাদেরকে পবিত্র করবেন; বরং তাদের জন্য কঠিন ও কষ্টকর শাস্তি রয়েছে।” ( সূরা আলে ইমরান, ৭৭ )
(বুখারী ও মুসলিম)
১৭১৫. হযরত আবু ওমামা ইয়াস ইবনে সা’লাবা আল-হারেসী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথ করে কোন মুসলমানের অধিকার আত্মসাৎ (প্রাপ্য নষ্ট) করল; আল্লাহ তার জন্য দোযখ অবশ্যসম্ভাবী করে দেন এবং বেহেশত হারাম করে দেন। এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সেটা যদি সাধারণ বস্তু হয়? তিনি উত্তরে বলেন, সেটা পিলু বৃক্ষের ছোট শাখা হলেও। (মুসলিম)
১৭১৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) নবী করীম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, কবীরা গুনাহ হল আল্লাহ সাথে শিরক করা, মাতা-পিতাকে কষ্ট দেয়া, মানব হত্যা করা এবং মিথ্যা শপথ করা। (বুখারী)
বুখারী শরীফের অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, এক বেদুঈন নবী (স) এর কাছে আসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কবীরা গুনাহ কি কি? তিনি বলেন, আল্লাহর সাথে শিরক করা। ব্যক্তিটি বলল, এরপর কোনটি? তিনি বলেন, মিথ্যা শপথ করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, মিথ্যা শপথ কি? তিনি বলেন, যে শপথের দ্বারা কোন মুসলমানের ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করা হয়। অর্থাৎ এমন শপথ যাতে সে মিথ্যুক হয়ে থাকে।