যে দাস আল্লাহ্ ও তার মনিবের অধিকার কায়েম করে তার গুরুত্ব

১৩৬৩. হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌নে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, দাস যখন তার মনিবের সেবা সুচারুরূপে করে এবং সুষ্ঠুভাবে আল্লাহ্‌র ইবাদাত করে তখন সে দ্বিগুণ পুণ্য হাসিল করে।
(বুখারী ও মুসলিম)


১৩৬৪. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স)ইরশাদ করেছেন, “ইবাদাতগুযার ও প্রভুর কল্যাণকামী দাসের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ প্রতিদান।” আর হযরত আবু হোরায়রা (রা) বলেন, জান যাঁর হাতে সেই সত্তার শপথ, যদি আল্লাহ্‌র রাস্তায় জেহাদ করা, হজ্জ করা ও ময়ের সেবা করার কাজ না থাকতো তবে আমি দাস হিসেবে মৃত্যুবরণ করা পছন্দ করতাম।
(বুখারী ও মুসলিম)


১৩৬৫. হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রা) থেকে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যে বান্দা সুচারুরূপে তার রবের ইবাদাত করে ও তার মনিবের তার ওপর যে অধিকার রয়েছে এবং যে কল্যাণকামিত ও আনুগত্য প্রাপ্য হয়েছে তা পুরোপুরি আদায় করে তার জন্য (আল্লাহ্‌র নিকটে) দুটি প্রতিদান রয়েছে।
(বুখারী)


১৩৬৬. হযরত আবু মুছা আল আশ’আরী (রা) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তি দ্বিগুণ পুণ্য পাবে। প্রথম আহলে কিতারো অন্তর্ভুক্ত এমন ব্যক্তি যে নিজের নবীর প্রতি ঈমান এনেছিল, এরপর আবার মুহাম্মদ (স) ওপর ঈমান এনেছে। দ্বিতীয়, অন্যে মালিকানাধীন দাস, যে আল্লাহ্‌র অধীকার আদায় করে এবং নিজের মনিবের অধিকারও আদায় করে। তৃতীয়, যে ব্যক্তির একটি দাসী আছে, সে তাকে আদব শিখিয়েছে এবং খুব ভালো করে আদব শিখিয়েছে, তাকে ইসলামী শিক্ষা দান করেছে এবং সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা দিয়েছে, এরপর তাকে স্বাধীন করে দিয়েছে এবং তাকে বিবাহ করেছে।
(বুখারী ও মুসলিম)

Was this article helpful?

Related Articles