মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন, “আর আল্লাহ্র ইবাদত কর এবং তাঁর সাথে শরীক করোনা। আর পিতা-মাতার সাথে আচরণ কর। আর নিকট আত্মীয়দের সাথে, ইয়াতীমদের সাথে, মিস্কিদের সাথে এবং নিকট প্রতিবেশির সাথে ও দূরের প্রতিবেশীদের সাথে, আর যারা সহযাত্রী তাদের সাথে এবং পথিকরদের সাথে ও তোমাদের মালিকানাধীন যারা আছে আদের সাথেও ভালো আচরণ কর।”
(সূরা নিসাঃ ৩৬)
১৩৬১. হযরত মারূর ইব্নে সুওয়াইদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু যার (রা)-কে দেখলাম তিনি এক জোড়া পোষাক পরিধান কররে আছেন, আবার তাঁর দাসটির পোশাকও হুবহু তাঁর মতো। আমি এ ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করলাম। উত্তরে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (স)-এর যুগে এক ব্যক্তির সাথে আমার তীব্র কথা কাটাকাটি হয়ে গিয়েছিল। আমি মায়ের নাম তুলে তাকে লজ্জা দিয়েছিলাম (কারণ তার মা ছিল ইরানী)। একথা শুনে নবী করীম (স) বললেন, “তোমার মধ্যে জাহেলিয়্যাত (মূর্খতা যুগের অভ্যাস রয়ে গেছে। তারা হচ্ছে তোমাদের ভাই ও তোমাদের সেবক। মহান আল্লাহ্ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। অতএব তোমাদের যার ভাই তার অধীনে রয়েছে তার তাকে তাই খাওয়ানো সমীচীন যা সে নিজে খায় এবং তাকে তাই পারানো উচিত যা সে নিজে পরে। সামর্থের বাইরের কাজের বোঝা তাদের ওপর চাপিয়ে দিবে না। আর এ ধরনের কাজের বোঝা তাদের ওপর দিলে তাদেরকে সাহয্য কর।
(বুখারী ও মুসলিম)
১৩৬২. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত । নবী করীম (স)ইরশাদ করেছেন, যখন তোমদের কারোর সেবক তার জন্য খাদ্য আনে এবং সে তাকে নিজের সাথে (আহারে) বসানো পছন্দ না করে থাকে, তবে (কমপক্ষে) এক লুক্মা বা দু’লুক্মা যেন তাকে দেয় অথবা এক গাল বা দু’গাল তাকে খাইয়ে দেয়। কারণ সেই কষ্ট করে তার জন্য তৈরি করে এনেছে।
(বুখারী)