১১৯৭. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আমি যদি আমার উম্মতের অথবা (বলেছেন) লোকদের কষ্ট হবার আশংকা না করতাম, তবে আমি তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সাথে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী ও মুসলিম)
১১৯৮. আবু হুযাইফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) যখন ঘুম থেকে ওঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিস্কার করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
১১৯৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর জন্য তাঁর মিসওয়াক ও ওযূর পানি প্রস্তুত রাখতাম। অতঃপর মহান আল্লাহ রাতে তাঁকে যখন জাগাতে চাইতেন তখন জাগাতেন, তখন তিনি উঠে মিসওয়াক করতেন, ওযূ করতেন এবং নামায পড়তেন। (মুসলিম)
১২০০. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আমি মিসওয়াকের ব্যাপারে তোমাদের অনেক বলেছি। (বুখারী)
১২০১. হযরত শুরাইহ ইবনে হানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হযরত আয়েশা (রা) কে বললামঃ নবী করীম (সা) যখন ঘরে প্রবেশ করতেন তখন সর্ব প্রথম কোন কাজটি করতেন। তিনি বললেনঃ প্রথমে মিসওয়াক করতেন। (মুসলিম)
১২০২. হযরত আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী করীম (সা) এর কাছে গেলাম আর (দেখলাম) মিসওয়াকের কিনারা তাঁর জিহ্বার ওপর। (বুখারী ও মুসলিম)
১২০৩. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেছেনঃ মিসওয়াক হচ্ছে মুখের পবিত্রতা অর্জনের যন্ত্র এবং প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের উপায়। (নাসায়ী)
১২০৪. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেছেনঃ পাঁচটি কাজ ফিতরতের (স্বভাবের) অন্তর্ভুক্তঃ ১. খাতনা করা, ২. নাভিমূলের পশম কাটা, ৩. নখ কাটা, ৪. বগলের পশম উঠানো এবং ৫. মোছ কাটা। (বুখারী ও মুসলিম)
১২০৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে আরো বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ দশটি বস্তু ফিতরাতের (মানুষের স্বাভাবিক ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন প্রণালীর অন্তর্ভুক্ত ১. মোছ কাটা, ২. দাড়ি লম্বা করা, ৩. মিসওয়াক করা, ৪. নাকে পানি দেয়া, ৫. নখ কাটা, ৬. শরীরের জোড়গুলো ধোয়া, ৭. বগলের চুল উঠানো, ৮. নাভিমূলের চুল কাটা, ৯. ইসতিনজা করা। বর্ণনাকারী বলেনঃ দশমটি আমি ভুলে গেছি। সম্ভবত সেটি হবে কুলি করা। (মুসলিম)
১২০৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেছেনঃ মোঁছা তোমরা কাট এবং দাঁড়ি লম্বা কর। (বুখারী ও মুসলিম)