ফজরের দু’রাকা’আত সুন্নাতকে হাল্কা করে পড়া এবং তাতে কি পড়া হবে ও কখন পড়া হবে তার বর্ণনা
১১০৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) ফজরের নামাযের আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে হালকা দু’ রাকা’আত নামায পড়তেন। (বুখারী ও মুসলিম)
আর বুখারী ও মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছেঃ তিনি ফজরের দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) এতো হালকা করে পড়তেন যে, আমি (মনে মনে) বলতামঃ এ দু’ রাকা’আতে তিনি কি সূরা ফাতিহা পড়েছেন? আর মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছেঃ তিনি আযান শোনার পর ফজরের দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) হালকা করে পড়তেন। অন্য এক বর্ণনায় আছেঃ যখন প্রভাতের উদয় হত।
১১০৬. হযরত হাফসা (রা) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেছেন) মুয়াযযিন ভোরে আযান দেবার পর যখন ভোর পরিষ্কার হয়ে যেত তখন রাসূলুল্লাহ (সা) ফজরের দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) নামায সংক্ষিপ্ত করে পড়তেন। (বুখারী ও মুসলিম)
আর মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছেঃ ফজর উদয়ের পর রাসূ (সা) হালকা দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) নামায ব্যতীত আর কোন নামায পড়তেন না।
১১০৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) রাতের নামায দু’ রাকা’আত করে পড়তেন। আর শেষ রাতে এক রাকা’আত জুড়ে দিয়ে বিতর বানিয়ে নিতেন। ভোরের নামাযের আগে তিনি দু’ রাকা’আত পড়তেন। মনে হত যেন ইকামত বুঝি তাঁর কানে গুঞ্জরিত হচ্ছে। অর্থাৎ খুব সংক্ষিপ্ত পড়তেন। (বুখারী ও মুসলিম)
১১০৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (কখনো কখনো) ফজরের দু’ রাকা’আত সুন্নাতের প্রথম রাকা’আতে পড়তেনঃ “কু-লু-আ-মান্না আয়াতটি শেষ পর্যন্ত। (সূরা বাকারাঃ ১৩৬) আর শেষ রাকা’আতে পড়তেনঃ “আমান্না বিল্লাহি ওয়াশ হাদ” আয়াতটি শেষ পর্যন্ত (সূরা আলে ইমরানঃ ৫২) অন্য এক বর্ণনায় আছেঃ শেষ রাকা’আতে তিনি পড়তেনঃ “তায়া’লাও ইলা- কালিমাতিন” (সূরা আলে ইমরানঃ ৬৪) এ দু’টি হাদীসই ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
১১০৯. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ফজরের দু’ রাকা’আতে (সুন্নাতে) কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন ও কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ পড়তেন। (মুসলিম)
১১১০. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে এক মাস যাবত পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেছি। আমি শুনেছি, তিনি ফজরের দু’ রাকা’আত সুন্নাতে কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরূন ও কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ পড়েছেন। (তিরমিযী)