প্রতিজ্ঞা পালনের বর্ণনা

ওয়াদা পালন করা

আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ

“তোমরা ওয়াদা পূর্ণ কর। কারন ওয়াদা সমন্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” (সূরা ইসরাঃ ৩৪)

তিনি আরো বলেছেনঃ

“যখন তোমরা আল্লাহর সাথে ওয়াদা কর তখন যেন তা পূর্ণ কর।” (সূরা নাহলঃ ৯১)

তিনি আরো বলেছেনঃ

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ওয়াদা পূর্ণ কর।” (সূরা মায়েদাঃ ১)

তিনি আরো বলেছেনঃ

“হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা যা করনা তা বল কেন? আল্লাহর কাছে অত্যন্ত জঘন্য কাজ হল, যা করনা তা বলা।” (ছাফফঃ ২-৩)

 

৬৮৯. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটিঃ (১) যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, (২) যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার নিকট যখন আমানত রাখা হয় সে তার খিয়ানত করে।

ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুসলিমের এক বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ যদিও সে রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান মনে করে।


৬৯০. আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ যার মধ্যে চারটি দোষ পাওয়া যাবে সে নিরেট মুনাফিক। যার মাঝে চারটির কোন একটি পাওয়া যাবে তার মধ্যে মুনাফেকীর একটি খাসলত আছে, যেই পর্যন্ত না সে তা বর্জন করে। সেগুলো হলঃ (১) তার নিকট আমানত রাখা হলে সে তার খেয়ানত করে; (২) সে কথা বললে মিথ্যা বলে (৩) সে ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৪) সে ঝগড়ায় লিপ্ত হলে অশ্লীল গালি-গালাজ করে। (বুখারী, মুসলিম)


৬৯১. জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) আমাকে বললেনঃ বাহরাইন থেকে মাল এসে আমি তোমাকে এই পরিমাণ এই পরিমাণ ও এই পরিমাণ দেব।৮১ অতঃপর বাহরাইন থেকে মাল আসার আগেই নবী (সা) ইন্তিকাল করেন। অতঃপর বাহরাইন থেকে মাল এসে গেলে আবু বকর (রা) নির্দেশ দিলে ঘোষণাকারী ডেকে বলেন, যার সাথে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কোন ওয়াদা রয়েছে অথবা তাঁর নিকট ঋণের পাওনা রয়েছে সে যেন আমাদের নিকট আসে। আমি আবু বকর (রা)-এর নিকট এসে তাঁকে বললাম, নবী (সা) আমাকে এই এই (দেবেন) বলেছিলেন। তখন আবু বকর (রা) আমাকে হাতের আঁজলা ভর্তি করে দিলেন। আমি তা গুণে দেখি পাঁচশ’ (দিরহাম) তারপর আবু বকর (রা) আমাকে বললেন, এর দ্বিগুণ নিয়ে নাও।   (বুখারী, মুসলিম)


 

Was this article helpful?

Related Articles