পরস্পর শত্রুতা পোষন, সম্পর্ক বর্জন ও সম্পর্ক ছিন্ন করা নিষেধ

পরস্পর ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ, দেখা-সাক্ষাত বর্জন ও সম্পর্কচ্ছেদ করা নিষেধ

আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ

“মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।” (সূরা হুজুরাতঃ ১০)

তিনি আরো বলেছেনঃ

“হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।” (সূরা মায়েদাঃ ৫৪)

তিনি আরো বলেছেনঃ

“মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। তোমরা তাদেরকে রুকু, সেজদায় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তষ্টির সন্ধানে আত্ননিমগ্ন দেখতে পাবে।(সূরাঃ ফাতহঃ ২৯)

১৫৬৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, তোমরা পরস্পর শত্রুতা পোষণ কর না, হিংসা কর না, দোষাত্রুটি তালাশ কর না এবং সম্পর্ক ছিন্ন করো না। হে আল্লাহ বান্দারা! ভাই হয়ে বসবাস কর। কোন মুসলমানের জন্য তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সময়ের জন্য সম্পর্ক পরিত্যাগ করা হালাল বা বৈধ নয়। (বুখারী ও মুসলিম)


১৫৬৯. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার বেহেশতের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করে না আল্লাহর তাকে ক্ষমা করে দেন। আর যে লোকের সাথে তার মুসলমান ভাইয়ের শত্রুতা রয়েছে তাদের সম্পর্কে বলা হয় এদের সুযোগ দাও যেন তারা নিজেদের মধ্যকার সর্ম্পক সংশোধন করে নিতে পারে। (ইমাম মুসলিম)

অন্য বর্ণনায় আছেঃ প্রতি সোমবার ও বৃহস্প্রতিবার বান্দাদের কার্যকলাপ পেশ করা হয়।


 

Was this article helpful?

Related Articles