তাক্‌ওয়া বা আল্লাহ ভীতির বিবরণ

মহান আল্লাহ বলেনঃ

হে ঈমানদারগণ! (তোমরা) আল্লাহকে ভয় করো যেমন তাঁকে ভয় করা উচিত। (সূরা আলে ইমরানঃ ১০২)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় করো। (সূরা তাগাবুনঃ ১৬)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। (সূরা আহযাবঃ ৭০)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে, আল্লাহ তাকে (দুঃখ-কষ্ট থেকে) মুক্তির পথ বের করে দেন এবং যে স্থান সম্পর্কে সে ধারণা করেনি, সেখান থেকে তিনি তাকে জীবিকা প্রদান করেন। (সূরা তালাকঃ ২ ও ৩)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করে চলো, তাহলে তিনি তোমাদেরকে (ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে) পার্থক্যকারী (শক্তি ও ক্ষমতা) দান করবেন, তোমাদের থেকে তোমাদের গুনাহসমূহ দূর করে দিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন; আর আল্লাহ বড়ই মহান। (আন ফালঃ ২৯)

 

৬৯. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলোঃ ‘সবচেয়ে সম্মানাই ব্যক্তি কে?’ তিনি বললেনঃ ‘সবার চেয়ে যে বেশি আল্লাহ ভীরু।’ সাহাবীগণ বললেনঃ আমরা একথা জিজ্ঞেস করছি না। তিনি বললেনঃ তাহলে আল্লাহর নবী ইউসুফ, যাঁর পিতা আল্লাহর নবী, তাঁর পিতা আল্লাহর নবী। এবং তাঁর পিতা ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ। সাহাবীগণ বললেনঃ ‘আমরা আপনাকে এ বিষয়েও জিজ্ঞেস করছি না’।   তখন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘তাহলে তোমরা আরবের বিভিন্ন গোত্রের কথা জিজ্ঞেস করছো? (জেনে রেখ) জাহেলিয়াতের যুগে যারা ভালো ছিল, তারা ইসলামের যুগেও ভালো, যদি তারা বুদ্ধিমান ও জ্ঞানবান হয়ে থাকে। (বুখারী ও মুসলিম)


৭০. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘দুনিয়াটা অবশ্যই মিষ্টি-মধুর ও আকর্ষণীয়। আল্লাহ তোমাদেরকে দুনিয়ায় তাঁর প্রতিনিধি বানিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি দেখতে চান তোমরা কেমন কাজ করো। কাজেই (তোমরা) দুনিয়াকে ভয় করো এবং নারীদের (ফিতনা) কেও ভয় করো। কারণ বনী ইসরাঈলের প্রথম ফিতনা নারীদের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছিল।’ (মুসলিম)


৭১. হযরত ইবনে মাসউদ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তাকওয়া, পথনির্দেশনা (হেদায়েত) পবিত্রতা ও স্বচ্ছলতা প্রার্থনা করি।’ (মুসলিম)


৭২. হযরত আবু তারিফ ‘আদী ইবনে হাতেম তা’ঈ (রা) বলেনঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে কসম খাওয়ার পর অধিকতর তাকওয়ার (খোদা ভীতির) কোনো কাজ সম্পাদন করল, এ অবস্থায় সেটাই তার করণীয়। (মুসলিম)


৭৩. হযরত আবু উমামা সুদাই ইবনে আজলান বাহেলী (রা) বর্ণনা করেনঃ আমি রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) বিদায় হজ্জের ভাষণ শুনেছি। তিনি বলেনঃ ‘তোমারা আল্লাহকে ভয় করো, পাঁচ ওয়াক্তের নামায আদায় করো, রমযানের রোযা পালন করো, স্বীয় মালের যাকাত দাও এবং নিজেদের শাসকের (বৈধ) নির্দেশ মেনো চলো। তাহলে তোমরা স্বীয় রব –এর জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ ইমাম তিরমিযী তাঁর কিতাবুস সালাতে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন এবং একে হাসান ও সহীহ হাদীসরূপে আখ্যা করেছেন।


 

Was this article helpful?

Related Articles