গরিবকে সুযোগ দেওয়া ও ক্ষমা করার ফযীলত

৪১. হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“তোমাদের পূর্বেকার জনৈক ব্যক্তির রূহের সাথে ফিরিশতারা সাক্ষাত করে বলে: তুমি কি কোনো কল্যাণ করেছ? সে বলে: না, তারা বলেন: স্মরণ কর। সে বলে: আমি মানুষদের ঋণ দিতাম, অতঃপর আমার যুবকদের বলতাম তারা যেন গরিবকে সুযোগ দেয় ও ধনীর বিলম্বিতা ক্ষমা করে”। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) হাদীসটি সহীহ।


৪২. আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“তোমাদের পূর্বের জনৈক ব্যক্তিকে জেরা করা হয়েছে, কিন্তু তার কোনো কল্যাণ পাওয়া যায়নি, সে ছিল ধনী, মানুষের সাথে লেনদেন করত, আর তার লোকদের বলত, যেন গরিবকে ক্ষমা করে”। তিনি বলেন: “আল্লাহ তা‘আলা বললেন: তার চেয়ে আমি ক্ষমা করার অধিক হকদার, তাকে ক্ষমা কর”। (সহীহ মুসলিম) হাদীসটি সহীহ।


৪৩. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“জনৈক ব্যক্তি কোনো কল্যাণ করে নি, সে মানুষকে ঋণ দিত, অতঃপর তার দূতকে বলত: যা সহজ গ্রহণ কর, যা কষ্টের তা ত্যাগ কর ও ছাড় দাও। হয়তো আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে ক্ষমা করবেন। যখন সে মারা গেল, আল্লাহ তাকে বললেন: তুমি কোনো কল্যাণ করেছ? সে বলে: না, তবে আমার এক কর্মচারী ছিল, আমি মানুষকে ঋণ দিতাম, যখন আমি তাকে উসুল করার জন্য প্রেরণ করেছি তাকে বলেছি: যা সহজ হয় গ্রহণ কর, যা কষ্টকরো ত্যাগ কর ও ক্ষমা কর, হয়তো আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ক্ষমা করবেন। আল্লাহ বলবেন: আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম”। (সুনান নাসাঈ) হাদীসটি হাসান।


 

Was this article helpful?

Related Articles