১১০২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে এল। তিনি তখন মাসজিদে ছিলেন। সে তাঁকে ডেকে বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ]। আমি যিনা করেছি। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে কথাটি সে চারবার পুনরাবৃত্তি করিল। যখন সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য প্রদান করিল তখন নাবী [সাঃআঃ] তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করিলেন, তোমার মধ্যে কি পাগলামীর দোষ আছে? সে বলিল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে কি তুমি বিবাহিত? সে বলিল, হ্যাঁ। তখন নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে যাও আর রজম করো।
জাবির [রাদি.] বলেন, আমি তার রজমকারীদের মধ্যে একজন ছিলাম। আমরা তাকে জানাযা আদায়ের স্থানে রজম করি। পাথরের আঘাত যখন তার অসহ্য হচ্ছিল তখন সে পালাতে লাগল। আমরা হার্রা নামক স্থানে তার নাগাল পেলাম। আর সেখানে তাকে রজম করলাম।
[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ২২ হাদীস নং ৬৮১৫-৬৮১৬; মুসলিম ২৯/৫ হাঃ ১৬৯১] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১১০৩. যায়দ ইবনি খালিদ জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তাঁরা বলিল, এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিল, আমি আপনাকে আল্লাহ্র কসম দিয়ে বলছি, আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহ্র কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করবেন। তখন তার প্রতিপক্ষ দাঁড়াল, আর সে ছিল তার চেয়ে অধিক বিজ্ঞ এবং বলিল, সে ঠিকই বলেছে। আপনি আল্লাহ্র কিতাব অনুযায়ী আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিন এবং আমাকে অনুমতি দিন, হে আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ]! নাবী [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ বল। তখন সে বলিল, আমার ছেলে এই ব্যক্তির পরিবারে মজুর ছিল, সে তার স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করে বসে। ফলে আমি একশ ছাগল ও একটি গোলামের বিনিময়ে তার থেকে আপোস করে নেই। তারপর কজন আলিমকে জিজ্ঞেস করি। তাঁরা আমাকে জানালেন যে, আমার ছেলের ওপর একশ কশাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। আর এ ব্যক্তির স্ত্রীর উপর রজম। তখন নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ ঐ সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি অবশ্যই আল্লাহ্র কিতাব অনুযায়ী তোমাদের মাঝে ফায়সালা করব। একশ [ছাগল] আর গোলাম তোমার কাছে ফেরত হইবে। আর তোমার ছেলের উপর আসবে একশ কশাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। হে উনাইস! তুমি প্রত্যূষে মহিলার কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করিবে। যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে রজম করিবে। সে স্বীকার করলে তাকে সে রজম করিল।
[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪৬ হাদীস নং ৬৮৫৯; মুসলিম ২৯/৫, হাঃ ১৬৯৭, ১৬৯৮] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস