সকল পাক পাত্র থেকে পান করা জায়েয
সোনা-রূপার পাত্র ছাড়া সকল পাত্রে পান করা বৈধ। নহর ও ঝর্ণা থেকে মুখ লাগিয় পান করা জায়েয। তবে সোনা ও রূপার পাত্রে পানাহার করা বা এগুলোর যে কোন প্রকার ব্যবহার হারাম।
৭৭৪. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নামাযের ওয়াক্ত নিকটবর্তী হল। যাদের ঘর নিকটে ছিল তারা তাদের পরিজনদের নিকট (উযু করতে) চলে গেল। কিছু সংখ্যক লোক বাকী রয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট একটি পাথরের বাটি আনা হল। পাত্রটি এত ছোট ছিল যে, তাতে তাঁর হাত সম্প্রসারিত করাও সম্ভব ছিল না। সমস্ত লোক সেই পাত্রের পানি দিয়ে উযু করে নিল। লোকেরা বলল, আপনারা সংখ্যায় কতজন ছিলেন? বলা হলঃ আশিজন বা তার চাইতে কিছু বেশি।
বুখারী ও মুসলিমের আরেক বর্ণনায় রয়েছেঃ নবী (সা) পানির পাত্র আনার জন্য ডেকে পাঠালেন। একটি বড় অথচ অগভীর পাত্র আনা হল। তাতে সামান্য পানি ছিল। রাসূলুল্লাহ (সা) তাতে তাঁর আঙ্গুল রাখলেন। আনাস (রা) বলেন, আমি দেখলাম যে, তাঁর আঙ্গুলগুলো ফুটে পানি বেরিয়ে আসছে। আনাস বলেন, আমি অনুমান করলাম, যারা উযু করলেন, তাদের সংখ্যা সত্তর থেকে আশিজনের মধ্যে ছিল।
৭৭৫. আবদুল্লাহ ইবনে যায়িদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) আমাদের নিকট এলেন। আমরা তাঁর জন্য পিতলের একটি পাত্রে করে পানি নিয়ে এলাম এবং তিনি উযু করলেন। (বুখারী)
৭৭৬. জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) এক আনসারীর নিকট এলেন। তার সঙ্গে তার এক সাথীও (আবু বকর) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ তোমার মশকে যদি রাতের বাসী পানি মজুদ থাকে, তাহলে দাও। অন্যথায় আমরা কোন নহর ইত্যাদিতে মুখ লাগিয়ে পানি পান করে নেব। (বুখারী)
৭৭৭. হুযাইফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) আমাদেরকে রেশমী ও রেশম সূতি মিশেল কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। তিনি সোনা ও রূপার পাত্রে পান করতেও আমাদেরকে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ এসব জিনিস দুনিয়াতে তাদের (কাফিরদের) জন্য এবং আখিরাতে তোমাদের জন্য। (বুখারী, মুসলিম)
৭৭৮. উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে, সে তার পেটে জাহান্নামের আগুনকেই প্রজ্বলিত করে।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। ইমাম মুসলিমের এক বর্ণনায় রয়েছেঃ যে ব্যক্তি রূপা ও সোনার পাত্রে খাবে অথবা পান করবে। তার আরেক বর্ণনায় রয়েছেঃ যে লোক সোনার অথবা রূপার পাত্রে পান করলো, সে তার পেটে জাহান্নামেরই আগুন প্রজ্বলিত করলো।