নসীহত বা উপদেশ ও মঙ্গল কামনার বিবরণ

মহান আল্লাহ বলেনঃ

‘মুসলমানরা পরস্পরের ভাই। অতএব, তোমরা ভাইয়ের পরিস্পারিক সম্পর্ক যথোচিতভাবে সুবিন্যাস্ত করে নাও। (সূরা হুজরাতঃ ১০)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ ‘আমি (নূহ) তোমাদের কাছে আমার প্রভুর বাণীসমূহ পৌঁছিয়ে দিয়ে থাকি; আমি তোমাদের শুভাকাঙ্খী। আমি আল্লাহর কাছ থেকে এমন বিষয়গুলো জানি, যা তোমাদের জানা নেই।’

মহান আল্লাহ বলেনঃ

‘আমি (হূদ) তোমাদের কাছে আমার প্রভুর বাণীসমূহ পৌঁছিয়ে দিয়ে থাকি; আমি তোমাদের বিশ্বস্ত শুভাকাংখী।’ (সূরা আল আরাফঃ ৬৮)

 

১৮১. হযরত আবু রুকাইয়া তামীম ইবনে আওস্‌ আদ্‌-দারী (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘দ্বীন (ইসলামের মূল ভিত্তি) হচ্ছে কল্যাণ কামনা।’ আমারা জিজ্ঞেস করলামঃ কার জন্যে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূল, মুসলমানদের ইমাম (নেতা) এবং মুসলিম জনগণের জন্যে। (মুসলিম)


১৮২. হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নামায কায়েম, যাকাত আদায়, সমগ্র মুসলমানদের জন্য শুভ কামনা ও সঠিক উপদেশ দানের শপথ বাইয়াত গ্রহণ করেছি। (বুখারী ও মুসলিম)


১৮৩. হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত (পূর্ণ) ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ না করবে, যা সে নিজের জন্যে পছন্দ করে। (বুখারী ও মুসলিম)


 

Was this article helpful?

Related Articles