দীনর মধ্যে নতুন নতুন বিষয়ের উদ্ভাবন ও প্রচলন নিষিদ্ধের বিবরণ

বিদ’আত বা দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয়ের প্রচলন নিষিদ্ধ

মহান আল্লাহ বলেনঃ

‘হক কথার পর আর সবই হচ্ছে ভ্রষ্টতা।’ (সূরা ইউনুস ২২)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

আমি এ কিতাবে কোনো কিছুই বর্জন করিনি। (সূরা আন’আমঃ ৮)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

‘যদি তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যাপারে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়, তবে সে ব্যাপারটিকে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও’ (অর্থ্যাৎ কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি তাকাও)। (সূরা নিসাঃ ৫৯)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

‘আর আমার (প্রদর্শিত) এই পথটি অতীব সরল; কাজেই তোমরা এ পথেই (এগিয়ে) চলো। এছাড়া অন্য কোন পথে চলো না; (কেননা) তা তোমাদেরকে তার (আল্লাহর) পথ থেকে সরিয়ে ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে। সূরা আন’আমঃ ১৫৩)

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

‘(হে নবী!) তুমি (লোকদের) বলে দাও; তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমার অনুসরণ করো। (সূরা আলে ইমরানঃ ৩১)

 

১৬৯. হযরত আয়েশা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; কোনো ব্যক্তি যদি আমাদের এই দ্বীনের ভেতর এমন কিছু সৃষ্টি করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত।   (বুখারী ও মুসলিম)

সহীহ মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি কোনো কাজ করে যা আমাদের দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয় তা অগ্রহণযোগ্য।


১৭০. হযরত জাবির বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বক্তৃতা করতেন, তখন তাঁর চোখ দু’টি লাল বর্ণ ধারণ করত, তাঁর কণ্ঠস্বর বুলন্দ হয়ে যেত এবং তাঁর রাগ বৃদ্ধি পেত; (তখন মনে হতো) তিনি যেন কোনো সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে দিচ্ছেন। তিনি বলতেনঃ ‘আল্লাহ তোমাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় (দিবা-রাত্র) ভালো রাখুক।’ তিনি আরো বলতেনঃ ‘আমাকে এবং কিয়ামতকে এই দুই আঙ্গুলের ন্যায় পাঠানো হয়েছে।’ একথা বলেই তিনি তাঁর মধ্যমা ও তর্জনী একত্র করতেন এবং বলতেনঃ অতপর সবচেয়ে ভালো বাণী হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। আর সবচেয়ে ভালো নিয়ম হলো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়ম। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ হলো (দ্বীনের ব্যাপারে) বিদআত— নতুন কিছু সৃষ্টি করা। আর প্রতিটি বিদআত (নতুন সৃষ্টিই) হলো ভ্রষ্টতা। এরপর তিনি বলতেনঃ ‘আমি প্রতিটি মুমিনের জন্য তার নিজের চাইতেও উত্তম।’ যে ব্যক্তি পিছনে কোন সম্পদ রেখে যায়, তা তার পরিবারবর্গের জন্য। আর যে ব্যক্তি কোন ঋণ কিংবা রেখে যায় অসহায় সন্তান, তার দায়িত্ব আমারই ওপর বর্তায়।         (মুসলিম)

এ পর্যায়ে হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রা) বর্ণিত হাদীসটি ইতোপূর্বে ‘সুন্নাতের হেফাজত’ পর্যায়ে উদ্বৃত হয়েছে।


 

Was this article helpful?

Related Articles