অপরিচিত মহিলা ও সুদর্শন বালকদের প্রতি শরয়ীকারণ ব্যতীত দৃষ্টি দেয়া নাজায়েয

সূরা নূরঃ ৩০

সূরা বনী ইসরাইল ৩৬

সূরা গাফির ১৯

সূরা ফজর ১৪

[Note: এ অধ্যায়ের কুরআনের আয়াত গুলো পরে আপডেট করা হবে]

 

১৬২৩. হযরত আবু হোরায়রা (রা) রাসূলুল্লাহ (স) কর্তৃক বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আদম সন্তানের জন্য ব্যভিচারের একটি অংশ নিদির্ষ্ট করা আছে। এটা সে নিঃসন্দেহে পাবেই। দু’চোখের যেনা হচ্ছে পরস্ত্রীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা, দু’কানের যেনা হলে যৌন উত্তেজনাকার বাক্যালাপ শ্রবণ করা, মুখের যেনা হল আলোচনা করা, হাতের যেনা স্পর্শ করা, পায়ের যেনা ঐ উদ্দেশ্য গমন করা। হৃদয় ঐ কাজের প্রতি কুপ্রবৃত্তিকে জাগ্রত করে এবং তার আকাঙ্খা করে। আর যৌনাঙ্গ এমন অবস্থা সত্যায়িত বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। (বুখারী ও মুসলিম)


১৬২৪. হয়রত আবু সাঈদ খুদরী (রা) নবী করীম (স) হতে বর্ণনা করেছেন, পথে বসা হতে নিজেকে দূরে রেখ। সাহাবায়ে কেরাম (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের পথে বাসা হতে বাচাঁর কোন উপায় নেই। আমরা পথে বসে বাক্যালাপ করি। রাসূলুল্লাহ (স) বললেন, তোমরা যখন পথের উপর বসা হতে বিরত থাকতে অস্বীকার করছ, তখন পথের হক আদায় করবে। সাহাবায়ে কেরাম (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! পথের হক কি? তিনি বললেন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কষ্টদায়ক বস্তু রাস্তা হতে সরিয়ে দেয়া, পথিকদের সালামের উত্তর দেয়া, সৎকাজের নির্দেশ দেয়া এবং অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকা। (বুখারী ও মুসলিম)


১৬২৫. হযরত আবু তালহা ইবনে সাহেল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আমাদের গৃহের চত্বরে বসে বাক্যালাপ করছিলাম। ইতোমধ্যে রাসূলুল্লাহ (স) এসে আমাদের সামনে দাড়াঁলেন। তিনি বললেন, তোমাদের কি হল, রাস্তায় কেন? রাস্তায় বসা পরিহার কর। আমরা বললাম, আমরা কোন ক্ষতি সাধনের জন্য এখানে বসিনি; বরং শুধু বাক্যালাপ ও আলাপ আলোচনার জন্য বসেছি। তিনি বললেন, যদি না বসলেই নয় তবে পাথের হক আদায় কর। পথের হক হল দৃষ্টি সংযত রাখা, পথিকের সালামের উত্তর দেয়া এবং উত্তম কথা বলা। (মুসলিম)


১৬২৬. হযরত জারীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (স) কে আকস্মিকভাবে দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে আন। (মুসলিম)


১৬২৭. হযরত উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (স) -এর কাছে ছিলাম। মাইমুনাও তখন তাঁর কাছে ছিলেন। এমন সময় আবদুল্লাহ উম্মে মাকতুম (রা) আসল। এটা আমাদেরকে পর্দার হুকুম দেয়ার পরের ঘটনা। নবী করীম (স) বললেন, তোমরা তাঁর সামনে পর্দা কর। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে পায় না, চিনতেও পারে না। নবী করীম (স) বললেন, তোমার দু’জন কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখতে পাও না? (আবু দাউদ ও তিরমিযী)


১৬২৮. হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, কোন পুরুষ কোন পুরুষের গুপ্তাঙ্গের দিকে দৃষ্টি দিবে না এবং কোন নারী কোন নারীর গুপ্তাঙ্গের দিকে দৃষ্টি দিবে না। দু’জন পুরুষ ব্যক্তি একত্রে একই বস্ত্রে নিদ্রা যাবে না। অনুরূপভাবে দু’জন মহিলাও একত্রে একই বস্ত্রের মধ্যে জড়াজড়ি করে নিদ্রা যাবে না। (মুসলিম)


 

Was this article helpful?

Related Articles